মহানগরীর ১০টি স্পটে ওয়াইফাই চালু করা হবে : রাসিক মেয়র লিটন

রাসিক প্রতিবেদকরাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মেয়র থাকাকালে পদ্মাপাড়ের বিনোদন কেন্দ্রে ওয়াইফাই চালু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে যারা দায়িত্বে আসলেন, তারা বুঝলেন না ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা। অপচয় মনে করে বন্ধ করে দিলেন ওয়াইফাই। আমি মনে করি নগরী সাহেববাজার জিরোপয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১০টি স্পটে ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা থাকা উচিত। আগামীতে নগরীর ১০টি স্পটে ওয়াইফাই চালু করতে চাই।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে মোবাইল গেইম ও এ্যাপ্লিকেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একটা সময় ছিল যখন এদেশের মানুষের তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। বিগত সময়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন জিডিটাল বাংলাদেশের ধারণা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন হাসিঠাট্টা করেছিল। তারাই এখন দেখতে পাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে অনেক কাজ করতে পারছেন। তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এক্ষেত্রে বিশাল জায়গায় চলে যাবে বাংলাদেশ।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সকল কার্যক্রম অনলাইনে মাধ্যমে সম্পন্ন করার স্বপ্ন আছে। যাতে করে ঘরে বসেই সব সেবা পেতে পারে নাগরিকেরা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা চারটি ক্ষেত্রে বেশি কাজ করতে চাই। সেগুলো হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেট, সরকারি সেবা অনলাইনে প্রদান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিল্পের প্রমোশন।

তিনি আরো বলেন, মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে শিক্ষানগরী রাজশাহীকে সিলিকন ভ্যালির আদলে সিলিকন সিটিতে পরিণত করতে চাই। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সকল কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তোমরা নিজেদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলবে। মাদক ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে মনোযোগী হবে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। এ সময় মোবাইল গেইম ও এ্যাপ্লিকেশন প্রজেক্টের পরিচালক আব্দুল হাই, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজিব প্রমুখ। #প্রেস বিজ্ঞপ্তি )#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.