বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এক স্কুলছাত্র ভয়াবহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। সহপাঠীদের মারধর ও নিপীড়নের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। ওই ছাত্রের মা জানিয়েছেন, নির্যাতনের সময় তার ছেলের মলদ্বারে লাঠি ঢুকিয়ে দেয় সহপাঠীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই কিশোর অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। সহপাঠীরা তাকে স্কুলশেষে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। একটা পর্যায়ে কাপড় খুলে যৌন নিপীড়ন করে। তার ভেতরে একটি লাঠি ঢোকালে একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মাসখানেক ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে ওই ছাত্র।
ছাত্রের মা জানিয়েছে, স্কুল থেকে ফিরে এসে প্রথমে কিছুই বলেনি তার ছেলে। পরে তীব্র পেটব্যথা শুরু হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে প্রকৃত ঘটনা সামনে আসতে থাকে।
গত ১৮ মার্চ মিথ্যা বলে ক্লাস থেকে ওই ছাত্রকে দূরে নিয়ে যায় সহপাঠীরা। এরপর তাকে অনবরত মারধর করতে থাকে। একটা পর্যায়ে কাপড় খুলে যৌন নিপীড়ন করে। তার ভেতরে একটি লাঠি ঢোকালে একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মারধরের পর তাকে শাসানো হয় যে কাউকে এই কথঅ বললে আমারও পেটানো হবে। মারধরের ভয়ে ১০ দিন চুপ ছিল সেই কিশোর। একটা সময় পেটে ব্যাথা হলে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর জানান কতটা ভয়াবহ তার অবস্থা।
ওই ছাত্রের মা বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্ত চান। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আইনি সংস্থা উভয়ের কাছেই বিচার দাবি করেছেন তিনি। ছেলের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, এখনো আতঙ্কে প্রতিরাতে ঘুম ভেঙে যায় তার ছেলের।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে আরেকটি অপারেশন লাগবে সেই কিশোরের। তার অভ্যন্তরীণ একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.