ভারতীয় দুই নাগরিক বাংলাদেশী দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করায় এলাকায় ক্ষোভ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: ভারতীয় দুই নাগরিক ভবেন্দ্র নাথ রায় প্রধান ও বজেন্দ্র নাথ রায় প্রধান বাংলাদেশি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। ২৭ জুন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করে।
পরে খবরের কাগজে দেখে বোদা-দেবীগঞ্জ এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের জায়গীরপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা দাবী করে, এনআইডি কার্ডের স্থগিতাদেশ বাতিল চান তারা।
ভারতীয় ওই দুই ভাই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৯৭২ সালে বাবা জলধর রায় প্রধানকে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে। বাবার হত্যার পর আমরা প্রাণভয়ে এলাকা ছাড়ি। পরে ফিরে আসলেও হত্যাকারীদের সন্তানেরা আমাদের হুমকি দিয়ে যায়।
জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক ভবেন্দ্র নাথ রায় প্রধান ও বজেন্দ্র নাথ রায় প্রধান জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থানার পশ্চিম মাগুরমারী গ্রামের মৃত জলধর রায়ের ছেলে। মোস্তফা কামাল তাদেরকে ভারত থেকে পার্সপোট ভিসায় নিয়ে আসে জালিয়াতির মাধ্যমে বোদা মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের জায়গীরপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সাজিয়ে চেয়ারম্যান, সচিব, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও পরিষদের হিসাব সহকারীর সহযোগিতায়,স্থানীয় দুই ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ ঘষামাজা করে, ভারতীয়দের জন্ম নিবন্ধন করে।
হোল্ডিং ট্যাক্সের কাগজ নেয় এবং পরিষদ থেকে নাগরিকত্ব সনদ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করলে,বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র পায় তারা। পরে জালিয়াতির খবরটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান নির্বাচন অফিসে বাতিলের আবেদন করে। পরবর্তীতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনে এনআইডি বাতিলের আবেদন করলে কার্ড দুটি স্থগিত করে দেয় কমিশন।
এনআইডি স্থগিতের আগে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে ওয়ারিশ সনদ নেয়।পাসপোর্টের জন্য আবেদন,মোবাইল সিম কার্ড গ্রহণ, কৃষি ব্যাংকে হিসাবসহ আয়কর ফাইল খুলেছেন।
ভারতীয়দের ব্যবহার করে মোস্তফা কামাল তাদের কাছ থেকে স্থানীয়দের ভোগদখলি ও বন বিভাগের জমি লিখে নেওয়ার জন্য দলিল প্রস্তুত করে কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায়। তারা জমি লিখে না দিয়ে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। এমন অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেন, মোস্তফা কামাল ও মিরাজ মোহাম্মদ তারেকুল হাসান।
স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় ওই দুই নাগরিকের বাবা বাংলাদেশে দেশ ভাগের আগে ছিল। তাদের কিছু জমি ছিল সেটা স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে ভারতে চলে যায়। এখন কয়েক যুগ পরে তার দুই ছেলে বাংলাদেশে আসে। মোস্তাফা কামাল জালিয়াতি করে তাদের এনআইডি কার্ড করে, জমি রেজিস্ট্রেশন করে নেওয়ার পায়তারা করছে।
তারা আরো বলেন, জালিয়াতি প্রমান হওয়ার পরেও ভারতীয় দুই সহোদর কিভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। প্রশ্ন আসে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।দুই সহোদরসহ মোস্তফা কামাল ও মিরাজ মোহাম্মদ তারেকুল হাসান ও নাসিরের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.