বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা নুরুন্নাহার ঝড় বৃষ্টিতে জীর্ণ শীর্ণ ঘরে বসবাস


বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে একাই বাস করেন উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের শীতলাই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা নুরুন্নাহার বেগম (৬৫)। ভাঙ্গা পলিথিন দিয়ে মুড়ানো জীর্ণ শীর্ণ ঘরে তার বসবাস। এমন দৃশ্য দেখে হতবাক উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান।
তিনি ২/৩ দিন আগে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন এলাকায় দপ্তরের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। পথে নামাজের সময় হলে একটি মসজিদ নামাজ আদায় থামেন। তার টয়লেটের প্রয়োজন হলে মসজিদের ব্যবস্থাপনা না থাকায় সামনে ছোট কুটির দেখে এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন পলিথিন মুড়ানো কুড়ে ঘর। এমন ঘরে দেখে হতবাক তিনি। কৌতুহল নিয়েই জানতে চাইলেন, ঝড় বৃষ্টিতে কেমনে থাকেন তিনি। কষ্টের দিনগুলোর কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এই বৃদ্ধা।
বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘১৬ বছর আগে স্বামী আবেদ আলী মারা যান। স্বামীর দুই সংসার থাকায় মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তিনি ২০ হাজার টাকার ১০ হাজার টাকা ভাগে নিয়ে সংসার চালান। দুই সন্তানের মধ্যে এক সন্তান প্রতিবন্ধী নূরুল ইসলাম (৪০)। আরেক সন্তান কোরানের হাফেজ মাওঃ হাফিজুর রহমান (৩০)। বাড়ির দুরাবস্থায় পার্শ্বের গ্রামে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে একটি মসজিদে ইমামতি করে তার সংসার চলে। বৃদ্ধা তার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে ভাঙ্গা বাড়িতে থাকেন।’ ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে চলে তার জীবন।
বৃদ্ধার দুরবস্থার বরাত দিয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলামকে অবহিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই বৃদ্ধার বিষয় ঘর নির্মার্ণের ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আলী স্ত্রী বৃদ্ধা নুরুন্নাহার বেগম (৬৫) জীর্ণ শীর্ণ ঘরে থাকেন, বিষয়টি জানতে পেরে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তার দুরদর্শা দুর করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.