নাটোর প্রতিনিধি: সাধারণত মুরগীর ডিমের ওজন হয় ৫০-৬০ গ্রাম। সেই ডিমের ওজন যদি হয় ১৮০ গ্রাম, তাহলে তা নিয়ে চারদিকে হইচই হবে এটাই স্বাভাবিক। এমন ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার ভাটাগ্রামের মৃত ওয়াজেদ সরদারের ছেলে গোলাম কিবরিয়ার মুরগীর খামারে।
এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অস্বাভাবিক বড় আকৃতির ডিমটি দেখতে তার বাড়িতে অনেকে ভিড় করছেন।
খামারী গোলাম কিবরিয়া জানান, গত ৫ মাসে আগে নিজ বাড়িতে লেয়ার মুরগীর খামার করেছেন। এক মাস যাবৎ মুরগীগুলো নিয়মিত ডিম দিচ্ছে। বুধবার সকালে প্রতিদিনই ন্যায় তার মা খামারে ডিম সংগ্রহ করতে যান। খামারের একটি খাঁচা অস্বাভাবিক বড় আকৃতির একটি বড় ডিম দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যান তিনি।
পরে বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের জানালে গোলাম কিবরিয়া এসে খাঁচা থেকে ডিমটি সংগ্রহ করেন। ডিজিটাল স্কেলে পরিমাপ করে দেখেন ডিমটির ওজন ১৮০ গ্রাম। মুরগী বিশাল আকৃতির। ডিম পেড়েছে এ খবর চারদিকে।ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষ তা দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
প্রতিবেশী হারুনর রশিদ, সাবিনা ইয়াসমিনসহ কয়েকজন জানান, মুরগীর এতো বড় ডিম দেখে তারা বিস্মিত ও অভিভৃত। ডিমটি অন্য ডিমের মসৃন নয়, দেখতেও অস্বাভাবিক। এবং সাধারণ ডিমের তুলনায় চার গুন বড়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, সাধারণত ডিমের ওজন ৫০-৬০ গ্রাম হয়। মুরগী অনিয়মিত ডিম দিলে ডিমের ভেতর ২-৩টা কুসুম থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিমের ওজন ৯০-১০০ গ্রাম হতে পারে। তবে মুরগীর ডিম ১৮০ গ্রাম হয়েছে এটা অস্বাভাবিক। এমন ঘটনা খুবই বিরল। আমি আমার চাকরী জীবনে প্রথম শুনলাম।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.