বিবর্ণ অতীত মুছে দেয়ালে দেয়ালে ‘স্বপ্নলিপি’ আঁকছেন শিক্ষার্থীরা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন দেশের শত শত মানুষ। রক্ত ঝরেছে হাজারও শিক্ষার্থীর। সড়কের পাশের ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে তাদের স্মৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার শিক্ষার্থীরা। বিবর্ণ অতীত মুছে দেয়ালে দেয়ালে ‘স্বপ্নলিপি’ আঁকছেন তারা।
এক সময় ওই দেয়ালগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন ও বিলবোর্ডে ভরে থাকত। এখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের রংতুলির আঁচড়ে ফুটে তুলছে কোটা আন্দোলনের স্লোগানসহ বিভিন্ন চিত্র ও সমাজ সংস্কারের উক্তি। বিভিন্ন স্সেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরুণ- তরুণীদের হাতে নতুন বাংলাদেশের এক উদ্ভাবনী স্বপ্ন আঁকা হচ্ছে। যে স্বপ্নের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে আন্দোলন করা শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শ্রমজীবী সহ দেশের সকল মানুষ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার আলিমুদ্দিন সরকারি ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, দেয়ালে সচেতনতামূলক প্রবাদ ও বিভিন্ন চিত্র আঁকতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে সড়কে দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে লালমনিরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় এলাকায় নেই কোনো যানজট। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যানজট নিরসনে কাজ করায় প্রশংসায় ভাসছে। কাকিনা-রংপুর সড়কে স্কাউটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজের দেয়ালে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পোস্টার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে সৌন্দর্য হারাচ্ছিল। ওই সকল পোস্টার ও বিজ্ঞাপন অপসারণ করে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়াতে লিখনি ও সচেতনতামূলক চিত্র আঁকছি। এতে করে কলেজ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হচ্ছে। এ ছাড়াও জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পরে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে সড়কে দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই। আমারা নতুনভাবে বাংলাদেশকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই। অতীত মুছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করতে চাই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.