ঢাকা প্রতিনিধি:‘নারীর জন্য বিনিয়োগ, সহিংসতা প্রতিরোধ’ এই শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য ধরে টেকসই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার পরিষেবার পথ উন্মোচিতকরণ দিনব্যাপী পরামর্শ কর্মশালার আয়োজন করে আশার আলো সোসাইটি। উক্ত কর্মশালায় চারটি কমিউনিটি বেজড বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। যারা দেশের বিভিন্ন যৌন পল্লীতে যৌন কর্মিদের স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে কাজ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন ডা শাহ মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন পরিচালক এনএএসসি/ডিজিএইচএস। তিনি বলেন, সিবিওদের (কমিউনিটি বেজড অর্গানাইজেশন) দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাদের নিজেদের ভূমিকাই প্রধান। তবে যেখানে এএসপি/ ডিজিএইচএস’র সহায়তা পাওয়া যাবে সেখানে ‘আশার আলো সোসাইটি’র মাধ্যমে জানানো হলে এনএএসসি/ডিজিএইচএস প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ব্রেস্ট ক্যান্সারের স্ক্রিনিং যৌন পল্লীতে বসবাসকারী নারীদের শুরু করা হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডা সায়মা খান, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউএনএইডস। তিনি বলেন, যদি ফান্ডিং আস্তে আস্তে কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়, ডোনার সাপোর্ট এখন আমাদের দেশে কমবে, এখন আমরা অনেক স্বাবলম্বী হয়ে গেছি। এই ডোনার সাপোর্টের এই প্রোগ্রামগুলো কমে গেলে তখন কি হবে? আমরা এত বছরে যা অর্জন করেছি তা হারাতে পারব না। এই জন্যই আপনাদের (সিবিও) এখানে নিয়ে এসেছি। আগামীকাল থেকে যদি সেইফ ফান্ড জিরো হয়ে গেলে আপনারা যার যার অবস্থান থেকে এই অর্জনগুলো ধরে রাখার জন্য কাজ করতে হবে এবং লোকাল প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখবেন যাতে আপনারা কোন বিপদে পড়লে নিজেরা দাড়াতে পারেন।‘
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা আব্দুল ওয়াদুদ, প্রোগ্রাম ম্যানেজার এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম, ডিজিএইচএস, ড রওনক খান, চিফ অফ পার্টি, সেভ দ্যা চিলড্রেন ও ডা রোখসানা, প্রজেক্ট টেকনিক্যাল অফিসার ইউএনএফপিএ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.