বাগমারা প্রতিনিধি: জামাই চাকরী করতে দিবেন না, শ্বশুর চাকরী করাবেন। জামাই-মেয়ের ইচ্ছার বাইরে মেয়েকে জামাইয়ের সাথে সম্পর্ক বিছিন্ন করতে শ্বশুর জমাইকে মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহীর বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নে বাগমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জামাই সোহেল (৪২) আহত অবস্থায় বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
‘তালাকের জন্য সবাই আমার বাড়িতে এসেছে, তুমি আসো তাড়াতাড়ি।’ স্ত্রীর এমন সংবাদ যোগাযোগ মাধ্যম মোবাইল ম্যাসেঞ্জারে খবর পেয়ে সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে স্ত্রীকে নিতে গিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের হাতে জখম হলেন জামাই।
জামাতার পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্র জানা গেছে, উপজেলার মাঝিগ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের ছেলের সাথে একই এলাকার বাগমারা গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে শিউলীর বিয়ের পর থেকে ঘরসংসার করে আসছিল।
শিউলী রাজশাহী শহরের কেয়ার প্যাথ ডাাগনষ্টিক সেন্টারে ইসিজি অপারেটর পদে চাকরী করেন।
সোহেল জামায়াতের গণিপুর ইউনিয়ন শিবিরের সাবেক সভাপতি ও শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের ইউনিয়নের সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি জামাই সোহেল স্ত্রীর চাকরী করা পছন্দ না করায় স্ত্রীকে চাকরী ছেড়ে নিয়েছেন। কিন্তু শ^শুর বাড়ির লোক জন কিছুতেই সেটা মেনে নিতে পারছিলেন না।
এই ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাতে মেয়েকে জোর পূর্বক স্বামী ছাড়ার চাপ সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় স্ত্রী শিউলী স্বামীকে বিস্তারিত জানিয়ে তাকে নিতে ডাকে। স্ত্রীকে রাতে নিতে বাগমারায় এসে মারপিটের শিকার হয়েছেন বলে সোহেল দাবি করেন।
সোহেল জানান, বউ এর অনুরোধে শ্বশুর বাড়ি আসলে তার স্ত্রীকে শুশুরবাড়ির লোকজন যেতে বারণ করে। এক পর্যায় সোহেলের সামনে স্ত্রী শিউলীকে তারা মারপিট করতে থাকে। স্ত্রীকে উদ্ধার করতে গেলে শ্বশুর আব্দুস সামাদ, শ্যালক আকাশ, সম্রাট সহ পরিবারের লোকজন লাঠি পিটা ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে সোহেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এই ঘটনায় তিনি বাগমারায় থানায় মামলা করবেন বলে ভুক্তভোগী সোহেল জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শ্বশুর আব্দুস সামাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জামাইকে মারপিটের কথা অস্বীকার করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং জামাই তাদেরকে মারপিট করেছেন বলে দাবি করেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.