বাগমারায় চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলার আরেক আসামী গ্রেফতার


বাগমারা প্রতিনিধ: রাজশাহীর বাগমারায় চাঞ্চল্যকর সোহাগ (২৬) বন্ধুর বাড়ি এসে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাগমারা থানা পুলিশ শিবলু রহমান (২২) নামে আরো এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত শিবলু রহমান কুদাপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।
রোববার বেলা ১১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম, ইন্সপেক্টর নয়ন হোসেন সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঝিকরা বাজারে শিবলু রহমানকে গ্রেফতার করে। এর আগে ওই হত্যা মামলার অপর আসামী রহিদুলকে আত্রাই এলাকা থেকে আটক করে পুুলিশ।
গত ২ ফেব্রেুয়ারী ঝিকরা ইউনিয়নে অসুস্থ বন্ধুকে দেখতে এসে নৃশংস ভাবে খুন হয় যশোহর মনিরামপুর এলাকার শরিফুল ইসলাম মিস্ত্রীর ছেলে সোহাগ। ঘটনার এক দিন পর সোহাগের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম সাগর বাদী (গত ৩ ফেব্রæয়ারি) হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামী আত্রাই উপজেলার দিঘা ব্রীজ বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গেফতারকৃত রহিদুল ইসলাম মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সগর উদ্দীনের ছেলে।
মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম সাগর বলেন, যারা আমার চাচাতো ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তাদের সকলের বিচার চাই। কোন সন্ত্রাসী যেন আইন বাহিরে যেতে না পারে। আমার চাচাতো ভাই কোন অপরাধ করেনি। কেন তাকে হত্যা করা হলো। কোন ভাবেই যেন আসামীরা ছাড় না পায়।
এদিকে মামলার পর থেকে ঝিকরার মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সুনির্দিষ্ট ভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করতে আইন শৃংখলাবাহিনীদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনার দিনে কারা ছিল, তাদের উদ্দেশ্য কি তা ধোঁয়া ছোয়ার মধ্যে নেই। প্রকৃত খুনিরা যেন ছাড় না পায় সে দিকে সকলের সহযোগীতা চাইছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম বলেন, সোহাগ হত্যা মামলায় আসামী শিবলু রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকার মালিবাগে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতে গিয়ে বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আনিসার রহমানের ছেলে মনাহার ইসলামের সাথে পরিচয় হয় যশোহরের সোহাগ নামে এক তরুন যুবকের। প্রায়ই দুজনের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। একটি ঘটনায় বন্ধু মনাহারের আহতের সংবাদে বাগমারায় এসে তিনি নির্মম হত্যার শিকার হন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.