বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ও ভারত পরস্পরের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন রয়েছে, এ বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া নিয়ে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
জাতিসংঘ সফরকালে নিউ ইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথাবার্তা বলেছি এবং আমরা উভয়পক্ষ একমত হয়েছি যে আমাদের পরস্পরের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন নিজেদের স্বার্থে। এটায় বাংলাদেশের স্বার্থ আছে এবং ভারতেরও স্বার্থ আছে। কাজেই এ লাইনেই কথা বলেছি।’
যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারকের সঙ্গে সর্ব্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি এবং এর কারণ হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা যখন পৌঁছেছেন, তার আগের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী চলে এসেছেন। কনমওয়েলথ সম্মেলনেও বৈঠক হবে না, কারণ দুজনের কেউ সেখানে যাচ্ছেন না, জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘হয়তো একটা সম্ভাবনা আছে। আগামী মাসে প্রত্যাশিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন হলে সেখানে হয়তো আলোচনা হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন এবং পারস্পরিক যে উদ্বেগগুলো আছে, সেটি সমাধানের চেষ্টা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা হয়েছে। একদম প্রথম অবস্থায় সত্যিকার অর্থে সরকার ছিল না কয়েক দিন। যদিও টেকনিক্যালি সরকার ছিল, কিন্তু পুলিশ ছিল না অনেক দিন। এসব কারণে নিরাপত্তার কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল এবং এটি আমরা স্বীকার করি। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে এবং ইদানিং বিদেশিদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ পাইনি।’
ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের অনেকে চলে গেছেন এবং তাদের কেন্দ্রগুলো এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। আশা করা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে চালু হবে। এখন শুধু বোধহয় স্বাস্থ্য ভিসা দেওয়া হচ্ছে, যুক্ত করেন তৌহিদ হোসেন।
অনেক দেশ এখনও ভিসা দেওয়া পুরোপুরি শুরু করেনি–– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কবে দেশগুলো ভিসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করবে এটি আমি বলতে পারবো না। আজ ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের কাছে ৬০ হাজার পাসপোর্ট সম্ভবত আটকে আছে। তিনি নিজেও এ বিষয়ে লজ্জিত। তিনি আমাকে বলেছেন যে তারা অতিরিক্ত অফিসার নিয়োগ করছেন যাতে করে পাসপোর্টগুলোর সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
আমাদের সঙ্গে অন্যান্য রাষ্ট্রদূতদের যখন কথা হচ্ছে তাদেরও আমরা বলছি যে ভিসা কার্যক্রমে আরও গতি আনার জন্য। একটি বিষয় হচ্ছে ভিসা হচ্ছে একটি সার্বভৌম অধিকার। কাকে ভিসা দেবে, কতটুকু দেবে– এটি তাদের নিজস্ব এখতিয়ার।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.