বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে টেলিটক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: চলতি বছরের ২ জুন থেকে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক পরিচালক হিসেবে টেলিটকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নুরুল মাবুদ চৌধুরী। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছে টেলিটকের উন্নয়নে।
টেলিটক গ্রাহকরা বলছেন, এখনও টেলিটকের নেটওয়ার্ক জটিলতা অনেক। তবে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত এমডি নুরুল মাবুদ চৌধুরীর মাধ্যমে সকল সমস্যা থেকে উত্তরণ হতে শুরু করেছে।
টেলিটকের ৪জি আপগ্রেডেশনের ১৫৫০+ চলমান গ্রাহক নেটওয়ার্ক জটিলতার অভিযোগ আছে তবে দ্রুত সমাধান হবে এই বিশ্বাস আছে বর্তমান ব্যবস্থাপক পরিচালক মহোদয়ের প্রতি।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার একজন রফিকুল ইসলাম নামের একজন রিটাইলার জানান, আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে টেলিটক, আগে মাই টেলিটক অ্যাপসে এমবি দিয়ে লগইন করা লাগতো এখন এখন মাই টেলিটক অ্যাপস এমবি ছাড়াই লগইন হয় পছন্দমত ডাটা প্যাক মিনিট সব কেনা যায়।
আগে ইউএসডি দিয়ে কম্বো প্যাকেজ এড করা ছিল না এখন ইউএসডি তে কম্বো প্যাক এড হয়েছে , মাই টেলিটক অ্যাপসে আগে মিনিট প্যাক একটা ছিল না এখন ছোট বড় মিনিট প্যাকেজ এড করা হয়েছে, বর্তমান সময়ের দাবি দ্রুত রিটেলার পর্যায়ে এমএনপি দেওয়া এখন সময়ের দাবি, এবং বিদ্যুৎ বিল টেলিসার্চ ব্যালেন্স থেকে কেটে নিবে এ ধরনের সিস্টেম করা হোক।
গোপাল চন্দ্র বর্মন নামে একজন গ্রাহক জানায় আগে 2g পাইতাম জানুয়ারির ২৩ সালে কিন্ত ২৪ সালের ১৮ তারিখ থেকে 4g করে দেওয়ায় অনেক গ্রাহক বৃদ্ধি হয়েছে, ২-৩ দিন বিদ্যুৎ কোন সমস্যা হলে জেনারেটরের ব্যবস্থা আছে ,মজজনু নামের এক গ্রাহক বলেন, আপনারা নেটওয়ার্ক সমস্যা দূর করুন।
কাস্টমার (গ্রাহক) খুঁজতে হবে না সেই গ্রাহক বলে আমাদের এই চর অঞ্চলে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ বেশি টেলিটক গ্রাহক আছে শুধুমাত্র মোটামুটি 2g নেটওয়ার্ক পাচ্ছে, তারপরও আমাদের এখানে অনেক টেলিটকের গ্রাহক রয়েছে এইখানে নতুন একটা বিটিএস দেওয়ার দরকার আমরা শুধুমাত্র টুজি নেটওয়ার্ক পাচ্ছি। আর সিম প্রতিটি উপজেলা এমনকি ছোটখাটো বাজারেও যাতে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে এবং যেইন প্যাকেজ টা দিতে হবে রিটেইলারদের কাছ থেকেও যেন নিতে পারি । মানুষ দেশীয় জিনিস সবার প্রথমে অগ্রাধিকার দেবে। তবে প্রথমেই নেটওয়ার্ক সমস্যা ঠিক করতে হবে।
মো. রাহীম নামের আরেক রিটেইলার বলেন ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারিঝাড় এই টাওয়ারটি তে আমি প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিসার্চ বিক্রি করি , আর গ্রাহক ভোগান্তি রুহুল আমিন নামে জানায় জয়মনির হাটের একজন গ্রাহক বলে জার্মানিরহাট বাজারে সব অপারেটরের টাওয়ার আছে টেলিটকের একটা টাওয়ার দ্রুত দিল ভালো হয় তাহলে জয়মনিরহাট এর উত্তর দিকে ৬ কিলোমিটার ফাঁকে একটি টেলিটক বিটিএস রয়েছে, এবং জয়মনিহাটের দক্ষিণ ৫ কিলোমিটার ফাঁকে একটি টেলিটক ফোরজি bts রয়েছে একটু কর্তৃপক্ষ যদি এই দিকে একটু সুদৃষ্টি দেয় জয়মনিরহাট একটি টাওয়ার দিলে মাঝখানের গ্যাপটা পূরণ হবে সেই সাথে সরকারের আরো রেভিনিউ বাড়বে। জাহাঙ্গীর নামে এক গ্রাহক বলে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাহীবাজার আমাদের এখানে মোটামুটি টেলিটক নেটওয়ার্ক একটু পায় আমি এবং আমার পরিবারের সবাই টেলিটক ব্যবহার করি কিন্তু এখানে প্রচুর নেটওয়ার্ক সমস্যা বেশিরভাগ জায়গায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না শাহীবাজার নামে স্থানে একটি টেলিটক টাওয়ার খুব দরকার,টেলিটকে সাশ্রয় কল ইন্টারনেটের জন্য সেরা সকলেই টেলিটক তখন ব্যবহার করবে।
গ্রাহকরা আরও বলছেন, টেলিটকের নেটওয়ার্ক জটিলতা কাটাতে বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন—নতুন টাওয়ার স্থাপন, পুরোনো টাওয়ারগুলোতে ৪জি আপগ্রেডেশন এবং ফাইবার অপটিক সংযোগের সম্প্রসারণ করার হলেও এটি এখনও ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় টেলিটকের বাজেট ও বিনিয়োগ সংকট, অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিলম্ব এবং প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এর নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে বলেও মনে করছেন তারা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান হৃদয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.