বদলি নেমে সাঞ্চো বাঁচালেন চেলসির মান, চাকরি বাঁচানো দায় টটেনহ্যামের কোচের

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: শিরোপার লড়াই থেকে অনেক আগেই ছিটকে গেছে চেলসি। লিগে তাদের লড়াই মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেয়ার। সে লক্ষ্যপূরণের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করার সুযোগ নষ্ট করল এনজো মারেস্কার শিষ্যরা। রেলিগেশন অঞ্চলে থাকা ইপসুইচ টাউনের বিপক্ষে কোনোমতে হার ঠেকিয়েছে চেলসি। এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে হেরে চাকরি হারানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন টটেনহ্যামের কোচ আনঝি পস্তেকগ্লু।
রোববার (১৩ এপ্রিল) স্টামফোর্ড ব্রিজে তলানির দল ইপসুইচ টাউনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে স্বাগতিক চেলসি। প্রথমার্ধে ইপসুইচের জুলিও এনচিসো ও বেন জনসন গোল করলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিক চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে আক্সেল তুয়ানজেবের আত্মঘাতী গোল ও জেডন সাঞ্চোর গোলে  সমতায় ফেরে ব্লুরা।
এই ম্যাচে জয় পেলে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে ৪ নম্বরে ওঠার সুযোগ ছিল চেলসির সামনে। কিন্তু ড্র করে ৩২ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকল চেলসি। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে চারে ম্যানচেস্টার সিটি।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়েছে চেলসি। বলের দখল কিংবা আক্রমণ সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল মারেস্কার শিষ্যরা। অন্যদিকে ইপসুইচ টাউন প্রতিআক্রমণে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে গেছে। অষ্টম মিনিটেই চেলসির নিকোলাস জ্যাকসনের শট বারে লেগে প্রতিহত হয়।
১৯ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে গোল খেয়ে বসে চেলসি।  হার্স্ট বল নিয়ে ওপরে উঠে জনসনকে বাড়ান। জনসনের নিচু করে বাড়ানো ক্রসে ছয় গজি বক্স থেকে সানচেজকে পরাস্ত করেন এনচিসো।
খেলার ধারার বিপরীতেই দ্বিতীয় গোলটি খায় চেলসি। ৩১ মিনিটে গোল করেন আগের গোলে সহায়তাকারী বেন জনসন। এই গোলের উৎসও হার্স্ট। তার ফ্লিকে বল পান ক্লার্ক। এই উইঙ্গার বল বাড়ান এনচিসোর উদ্দেশে। ব্যাকপোস্ট থেকে তার বাড়ানো ক্রস চমৎকারভাবে হেড করে দূরের পোস্টে পাঠান জনসন।
বিরতির পর মাঠে ফিরেই মরিয়া হয়ে আক্রমণে ওঠে চেলসি। ফলও পায়। প্রথম মিনিটেই ব্যবধান কমানো গোলের দেখা পায় মারেস্কার শিষ্যরা। মাদুয়েকের নিচু ক্রস ঠেকাতে গিয়ে ইপসুইচের জালে বল জড়ান তাদের ডিফেন্ডার তুইনজেবে।
ব্যবধান কমানোর পর সমতাসুচক গোলের সন্ধানে আরও আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে ব্লুরা। সুযোগসন্ধানী ইপসুইচও ভীতি ছড়াচ্ছিল চেলসির রক্ষণে। ৫৪ মিনিটে টানা দুটি সুযোগ নষ্ট করেন হার্স্ট। 
৬৮ মিনিটে মাদুয়েকেকে উঠিয়ে সাঞ্চোকে নামান মারেস্কা। সাঞ্চো নামতেই আরও ধার বাড়ে চেলসির আক্রমণভাগের। ৭৪ মিনিটে সাঞ্চোর ক্রসে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ। কিন্তু তার আগেই টাউনসেন্ড বল ক্লিয়ার করেন।
তবে ৭৯ মিনিটে আর রক্ষা পায়নি সফরকারীরা। বদলি নামা সাঞ্চো দারুণ এক গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। কোল পালমার ও কুকুরেয়া মিলে দ্রুত কর্নার নেন। সাঞ্চো দৃষ্টিনন্দন বাঁকানো শটে ওপরের কর্নার দিয়ে বল জালে পাঠান।
এদিকে দিনের আরেক খেলায় ঘরের মাঠ মলিনাক্স স্টেডিয়ামে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স ৪-২ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পারকে। প্রথমার্ধে রায়ান এইত-নুরি ও জেড স্পেন্সের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধে বাকি দুই গোল করেন স্ত্যাদ লারসেন এবং ম্যাথিয়াস কুনিয়া।
টটেনহ্যামের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল শোধ করেন ম্যাথিয়াস তেল ও রিচার্লিসন।
চলতি মৌসুমে দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন টটেনহ্যামের কোচ পস্তেকগ্লু। এই নিয়ে টানা ৪ ম্যাচ জয়হীন স্পার্স। এর মধ্যে হেরেছে ৩ ম্যাচে। উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে হারের পর তার বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার।
এই হারে ৩২ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে অবস্থান করছে টটেনহ্যাম। সমান ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে পরের স্থানেই উলভারহ্যাম্পটন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.