বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

 

নিজস্ব প্রতিবিদেক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক। দেশ স্বাধীন হলেও যাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা, সেই অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে অন্তরীণ। স্বাধীনতা এলেও নেতার অনুপস্থিতিতে অপূর্ণতা ছিল বিজয়ের গৌরব উদ্‌যাপনে।

প্রত্যাবর্তন – স্বদেশে – বীরের বেশে – জাতির মহানায়ক হয়ে প্রিয় জনগণের মাঝে আবার অনুপ্রেরণার উৎস তিনি।

স্বাধীন বাংলায় পা ফেলেন ১৯৭২ সালের এই দিনে। সেই ১০ জানুয়ারি ঢাকা পরিণত হয়েছিল যেনো এক মানব সাগরে।

অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ক্ষণটিকে এভাবেই মূল্যায়ন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

 

একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের ২৪ দিন পর পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে ৮ জানুয়ারি মুক্ত হন জাতির পিতা। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যুযন্ত্রণা শেষে লন্ডন-দিল্লী হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালীর। লন্ডন এবং দিল্লী দুই-জায়গাতেই বঙ্গবন্ধুকে দেয়া হয় বীরোচিত সংবর্ধনা।

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন স্বাধীনতার স্থপতি। আবেগজড়িত বজ্রকণ্ঠে আরেকবার জাগিয়ে তোলেন গোটা জাতিকে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থেকে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে জাতিকে নির্দেশনা দেন স্বাধীনতার স্থপতি।

জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়া বাঙালির ভালোবাসার ঋণ রক্ত দিয়ে হলেও শোধ করার অঙ্গীকার করেন বঙ্গবন্ধু।

একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে হানাদাররা। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় তাকে বন্দি রাখা হয়, পাকিস্তানের অন্ধকার কারাগারে। নয় মাস পর, তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে পূর্ণতা পায় বাঙালির স্বাধীনতা।#

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি আমানুল্লাহ আমান।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.