বগুড়ার শেরপুরে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার-৫

 

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে দুজনকে মারধরের ঘটনায় যুবলীগের নেতা মাহফুজার রহমান মনিরসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মনির শেরপুর পৌর যুবলীগের সহসভাপতি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে পৌর শহরের উত্তরসাহাপাড়া এলাকায় মারধরের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাহফুজুর রহমান মনির (৩৮) ও তার ছোট ভাই ফাহাদ হোসেন (২২), গোলাম মোস্তফা (২৫), সেলিম (২৫) ও শহিদুল ইসলাম (২৮)।
আহত সোহেল রানা ও তার ভাগ্নে রাব্বী (১৫) উত্তরসাহা পাড়া এলাকার বাসিন্দা। পরে মঙ্গলবার রাতে আহত সোহেল রানার বোন শাম্মি আক্তার রিনা (৩৮) বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী রিনা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে যুবলীগ নেতা মনির সোহেলের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ৫ লাখ টাকা নেয়। সেই টাকার জন্য সোহেল বারবার তাগাদা দেয়। মঙ্গলবার সকালে মনির টাকা দেওয়ার কথা বলে সোহেলকে শহরের বাসস্ট্যান্ডের একটি হোটেলে ডেকে নিয়ে মারধর করে। সোহেল সেখান থেকে পালিয়ে তার এলাকায় আসে। এরপর মনির ও তার বাহিনী সোহেলকে পৌর শিশুপার্ক থেকে তার অফিসে তুলে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ সময় তার ভাগ্নে রাব্বি এগিয়ে এলে তার মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আহত সোহেল ও রাব্বিকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তারা মনিরের অফিসও ঘেরা করে রাখেন। পরে মনিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে সোহেল ও রাব্বির অবস্থার অবনতি হলে তাদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন রিনা।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ‘আসামি মনিরের অফিস তল্লাশি করে একটি হাতুড়ি, একটি এসএস পাইপ ও দুটি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। ৫ জন আসামিকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বগুড়া প্রতিনিধি রাহেনুর ইসলাম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.