কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: প্রায় দেড় বছর বাদে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের তরফ থেকে চালু হতে চলেছে গঙ্গা বক্ষে পর্যটন ট্যুর। এতদিন করোনা আবহাওয়ে সব পর্যটন কেন্দ্র তথা সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে বন্ধ ছিল সব ট্যুর। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো তাই পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ছোট ছোট ট্যুরগুলো আপাতত শুরু করা হবে বলে জানান নিগমের কর্তারা।
করোনার সংক্রমণের জন্য এখন সবাই কাছেপিঠে দু-একদিনের বেড়ানোই পছন্দ করছেন, সেইটি মনেরেখে নিগম আগামী ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ট্যুর চালু করছে। দু-তিনদিনের তালিকায় আছে ঝাড়গ্রাম, সুন্দরবন ও শহরতলির গঙ্গা ভ্রমণের মাধ্যমে দ্রষ্টব্য স্থানগুলোতে কয়েকঘন্টা কাটানো ও রাত্রিবাসেরও ব্যবস্থা থাকছে।
গঙ্গাভ্রমনের প্যাকেজটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক্সপিরিয়েন্স গ্যাঞ্জেস’। নিগম কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন,কলকাতা থেকে বিলাসবহুল লঞ্চ ও বাতানুকুল বাস দুই ধরনেরই ব্যবস্থা থাকছে। সাথে থাকছে আরামদায়ক বাস সার্ভিস ও।ট্যুরিস্টদের সুবিধে অসুবিধে অনুযায়ী ব্যারাকপুর, চন্দননগর, ব্যান্ডেল, দক্ষিনেশ্বর ও বেলুড়ের দ্রষ্টব্য স্থান গুলো দর্শন করতে পারবেন। কেউ চাইলে রাত্রিবাসেরও ব্যবস্থা করা হবে সেই সাথে থাকছে সুস্বাদু খাবারদাবারের ব্যবস্থা। খরচ মাথাপিছু ৮হাছার ৫৯৯টাকা।
ঝাড়গ্রামকে কেন্দ্র করে যে প্যাকেজটি চালু করা হবে দু-রাত তিনদিনের খরচ পড়বে আনুষঙ্গিক সব সহ জনপ্রতি ৭হাজার ৭৯৯ টাকা। ঝাড়গ্রামের দ্রষ্টব্য জায়গাগুলির মধ্যে থাকছে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ,কনকদুর্গার মন্দির, চিল্কিগড়, সাবিত্রী মন্দির, কাঁকড়াঝোড়, কেতকী ঝর্ণা ও আদিবাসী মিউজিয়াম প্রভৃতি। ঝাড়গ্রাম যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে কলকাতা থেকে যাওয়া ও ফেরা এসি বাসে।
সুন্দরবনের ট্যুর বরাবর লঞ্চেই হয়ে থাকে। ট্যুরিস্টরা সেটাই পছন্দ করে। সেখানেও দু-রাত্রি তিনদিনের খরচ মাথাপিছু ৯হাজার ৬০০টাকা। ইতিমধ্যেই বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানান নিগমের কর্তারা। সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন কর্তারা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.