ফেইসবুকে পরিচয়: বিয়ের ৮ মাসেই লাশ হলেন হবিগঞ্জের নজরুল 

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রথমে ফেসবুকে পরিচয়। মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে ভালো লাগা। সেই ভালো লাগা রূপ নেয় ভালোবাসায়। প্রেমিকাকে কাছে পেতে সৌদিআরব থেকে দেশে ছুটে আসেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের যুবক নজরুল ইসলাম।
পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার পূর্ব ডুমখালী গ্রামের নার্গিস আক্তারকে বিয়ে করেন। অগোচরে বিয়ে করলেও পরিবারের নয়নের মণি নজরুল ও নার্গিসকে হাসিমুখেই মেনে নেয় নজরুলের পরিবার। মাত্র কয়েকদিনেই বদলে যাওয়া নার্গিসকে খুশি রাখতে সকল চাহিদাই পূরণ করেন নজরুল। তবুও ঠিকেনি তাদের সংসার।
পরিবারের অভিযোগ, নার্গিসের পেটে নজরুলের সন্তান, এমন খবর পেয়ে কক্সবাজারের চকরিয়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সাথে দেখা করতে যান নজরুল। তবে তাকে ফিরতে হয়েছে কফিনবন্দি লাশ হয়ে।
গত শনিবার সেখান থেকে নজরুলের মরদেহে উদ্ধার করে পুলিশ। নজরুলের ভাই তাজুল ইসলাম আদন বলেন, আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন প্রায় ৫ মাস আগে তাদের বিচ্ছেদ হয় কিন্তু হঠাত করে নার্গিস আমার ভাইকে ফোন দিয়ে বলে তার পেটে নজরুলের বাচ্চা একথা শুনার পরে আমার ভাইকে আর আটকে রাখতে পারিনি। শনিবার সকালে হঠাৎ ফোন আসে নজরুলের লাশ পাওয়া গেছে কক্সবাজারে। আমরা সেখানে ছুটে যাই। একটি রুমের খাটের উপর তার লাশ পরে ছিল। ওই বাসার প্রতিবেশি বলেছেন শুক্রবার তারা এক সাথে বাসাতেই ছিলো।
সকালে নার্গিস প্রতিবেশিদের ফোন দিয়ে বলেন নজরুল তার ফোন রিসিভ করে না একটা ডাক দিয়ে বলার জন্য। এরপর তারা গিয়ে লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, নার্গিস যদি আমার ভাইকে খুন না করতো তাহলে সে পলাতক কেন? সেতো তার স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে আসতে পারতো, এতেই প্রমান হয় আমার ভাইকে সেই হত্যা করেছে।
অভিযোগ করে নজরুল বলেন, আমার ভাইকে ওই নারী প্রতিনিয়তই মারধর করতো। সব কিছু সহ্য করে তাকে নিয় চলার চেষ্ঠা করতো। তার সব শখ পূরণ করার চেষ্ঠা করতো। পরিবারের ছোট ভাই হিসাবে তার ইচ্চার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতো না।
কক্সবাজারে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সকালে লাশ নিয়ে আসা হয় হবিগঞ্জের হামিদপুর গ্রামে। নজরুলকে শেষবারের মতো দেখার জন্য আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশি ও আশপাশের গ্রামের লোকজন বাড়িতে ভিড় করেন। স্বজনদের কান্না ভারি হয়ে উঠে চারপাশ। তার এমন চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না কেউই। সকাল সাড়ে ১১টায় সুলতানশি সাহেব বাড়ি মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবস্থানে দাফন করা হয় নজরুলের মরদেহ। এর আগে শনিবার উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নজরুলের ভাই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মো: আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.