ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ শূন্য

ময়মনসিংহ ব্যুরো: গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার পর থেকে ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ শূন্য। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত থানায় কোনো পুলিশ দেখা যায়নি। পুলিশের সরঞ্জমাদিসহ পুরো থানা অরক্ষিত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন খবরে গতকাল সোমবার দুপুর থেকে শত শত মানুষ ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে অবস্থান নিয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন।
বিকেলে কয়েক হাজার মানুষ মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে শেখ মুজিবুর রহমানে ম্যুরাল ভাঙচুর করে উল্লাস করেন। সন্ধ্যার দিকে ফুলবাড়িয়া থানা গেইট ভেঙে ভেতরে শত শত মানুষ প্রবেশ করে থানা ভাঙচুর, পুলিশের দুটি গাড়ি, ৪ থেকে ৫টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ পুলিশের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় থানা ভবনের ভিতরে পুলিশ অবস্থান করছিলেন।
পুলিশের মধ্যে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
রাত প্রায় ১০টার দিকে পরিবেশ অনেকটা স্বাভাবিক হলে ভবনের ভেতর থেকে ১ থেকে ২ জন করে সব পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে পুলিশ শূন্য রয়েছে ফুলবাড়িয়া থানা।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়িয়া বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল থানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, সাবেক আওয়ামী লীগের এমপি মোসলেম উদ্দিনের দুই মেয়ের বাসা, তাদের গাড়ি, একটি প্রাইভেট হাসপাতাল, পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়ার বাসভবন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়িসহ বেশ কিছু স্থাপনা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
ফুলবাড়িয়া থানা ওসি মোহা. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘শত শত মানুষ থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুর করে লুটপাট করে, রাতে থানা থেকে সবাই চলে আসছি।
সাদা পোশাকে থানার আশপাশে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল বলেন, ‘থানায় কোনো পুলিশ না থাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছি।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম (সাইফুল) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.