বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন ১৩ জন ইসরায়েলি, ১০ জন থাই ও একজন ফিলিপাইনসের নাগরিককে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। হামাসের হাতে আটক এসব বন্দিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছিল ইসরায়েল।
তবে বন্দি এসব ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পরিবারের স্বজনদের মুখে শোনা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন বক্তব্য। এরই মধ্যে এক থাই বন্দির পরিবার জানিয়েছে টানেলে আটক থাকা বন্দিদের সঙ্গে ঠিক কী ধরনের আচরণ করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের পরিচালিত অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড পরিচালনার সময় গেল ৭ অক্টোবর আটক হয়েছিলেন ৩৩ বছর বয়সী থাই নাগরিক ভেতন পুমে।
শুক্রবার বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তির পর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
এক সাক্ষাৎকারে ভেতন পুমের বোন রুঙ্গারুন উইচানগুয়েন জানান, তিনি যখন ভাইয়ের সঙ্গে ভিডিও করে কথা বলেন তখন তাকে দেখতে উচ্ছাসিত লাগছিল, মনে হচ্ছিল সে ঠিক আছে।
থাই নাগরিক পুমের বোন আরও জানান, ভিডিও কলে কথা বলার সময় তার ভাই হামাসের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় ভালো যত্ন পেয়েছেন বলে তাকে জানান। ভেতন পুমে তার বোনকে জানান বন্দিদের কোনো প্রকার নির্যাতন বা লাঞ্ছিত করেনি হামাসের সদস্যরা, এমনকি তাদের ভালো খাবারও দেওয়া হয়েছে সবসময়। হামাসের সুড়ঙ্গ ব্যবস্থাপনা ও বন্দিদের থাকার পরিবেশ নিয়ে বন্দি থাকা পুমে তার বোনকে জানান, বন্দি অবস্থায় তার মনে হয়েছিল তিনি কোনো সুড়ঙ্গে নয় বরং কোনো বাসায় রয়েছেন।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দুইদিনে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানায় ইসরায়েলি চিকিৎসকরা। উলফসন এবং স্নাইডার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া নারী ও শিশুদের শারীরিক অবস্থা ভালো এবং স্থিতিশীল। ইসরাইলের আরেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলন হাসপাতালে মুক্তি পাওয়া ৫ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সবার অবস্থা স্থিতিশীল এবং সবাই সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের বন্দি করার পর হামাস জানিয়েছিল তারা গাজার মেহমান। তাদের প্রতি কোনো প্রকার অন্যায় করা হবে না। এমনকি বন্দিদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
এরআগে, যুদ্ধের শুরুর দিকে চার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল সংগঠনটি। তারা হলেন মার্কিন নাগরিক জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানান এবং ইসরায়েলি নাগরিক নুরিত কুপার ও ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ। এসব বন্দিরা জানিয়েছিলেন হামাস সদস্যরা তাদের সঙ্গে সর্বোচ্চ মানবিক আচরণ করেছেন, এমনকি তাদের স্বাস্থ্যগত পরিচর্যাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.