টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক তরুণীর সাথে একাধিকবার শাররীক সম্পর্ক করেছে নাইম (৩০) নামের এক যুবক। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে থানায় অভিযোগ করে ওই তরুণী।
অভিযুক্ত ওই যুবক শহরের সাবালিয়া বটতলা এলাকার ছানোয়ার ভুইয়া সোনা মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এসআই) প্রতিভা রাণী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নাইমের সাথে ওই তরুণীর প্রায় ৬ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক। প্রেম থাকাকালীন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার শাররীক সম্পর্ক করেন নাইম। বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে নভেম্বরের ২৪ তারিখে নানা অপবাদ দিয়ে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে ১ ডিসেম্বর থানায় গিয়ে ওই তরুণী তিনজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দেয়।
ওই তরুণী জানায়, আত্নীয়তার সুত্রে গত ৬ বছর পুর্বে নাইমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে তার পরিবার জোর করে অন্যত্র তাকে বিয়ে দেয়। সেখান থেকে নাইম তাকে ফঁসলিয়ে ওই তরুণীর স্বামীকে তালাক দেওয়ায়। তারপর নাইম তাকে নিয়ে কক্সবাজার যায়। সেখানে তিন দিন তিন রাত হোটেলে থাকে। এছাড়াও ছয় বছরে তরুণীদের বাসায় গিয়ে অবাধে মেলামেশা করে।
স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালে নাইম বলে- মিতু আমার স্ত্রী। পরে এলাকাবাসী ছেড়ে দেয়। তরুণী আরো জানায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে নাইম বলে আমার একটি মাত্র বোন। বোনসহ ভগ্নিপতি কবীর ইতালীতে থেকে আসলে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। এদিকে ওই তরুণী কুমুদিনি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করেন। সম্প্রীতি তার বোন ও ভগ্নিপতি ইতালি থেকে আসলে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিয়ে করতে পারবে না বলে অস্বীকার করে। পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত নাইমের বাবা ছানোয়ার ভুইয়া ও ভগ্নিপতি ইতালি প্রবাসী কবীর হোসেন জানায়, ওই মেয়ে তাদের আত্মীয়। মেয়ের বিয়ে হয়েছিলো কিভাবে তাকে ঘরে বউ হিসেবে আনবো। এছাড়াও মেয়েটির চরিত্র ভালো না। আপনার ছেলে তাকে নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছিলো এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দেন নি। নাইমের ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর হাসান বিটিসি নিউজকে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.