প্রধানমন্ত্রী হয়েই অভিবাসীদের বড় সুখবর দিলেন স্টারমার

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দায়িত্ব নিয়েই যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা অভিবাসী প্রত্যাবাসন নীতি নিয়ে নিজের অবস্থান জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠাতে আগের সরকার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, তা তিনি বাতিল করবেন।
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ঢোকা আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠাতে দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তি করে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রশাসন। মূলত অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যাতে ছোট ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এমন একটি উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছিল।
বিতর্কিত ওই প্রকল্পে ৩২ কোটি পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হয়। আগেই অনুমান করা হয়েছিল, সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসলে এই প্রকল্প বাতিল করা হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবারের (৪ জুলাই) নির্বাচনে বড় জয় পায় লেবার পার্টি। পরদিন শুক্রবারই (৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান দলটির নেতা কেয়ার স্টারমার। গঠন করেন মন্ত্রিসভাও। সরকার গঠনের পরই বহুল বিতর্কিত অভিবাসী প্রত্যাবাসন নীতি নিয়ে নিজের অবস্থান জানালেন তিনি।
এ ব্যাপারে শনিবার (৬ জুলাই) স্টারমার বলেছেন, শুরু হওয়ার আগেই রুয়ান্ডা পরিকল্পনার মৃত্যু ও সমাধি হয়েছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটকাতে এটা কখনই কার্যকর নয়। আমি এ ধরনের প্রতারণাপূর্ণ কৌশল এগিয়ে নিতে প্রস্তুত নই।
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী ছোট নৌকায় করে আসেন তাদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর সম্ভাবনা মাত্র ১ শতাংশ। আর এ বিষয়টি খুব ভালো করেই জানে গ্যাংয়ের সদস্যরা। এর ফলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ইউরোপে নিয়ে আসা অব্যাহত রেখেছে তারা।
চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে পাস করা হয় বিতর্কিত আইনটি। আইনটির ব্যাপারে ঋষি সুনাক সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য রুয়ান্ডা একটি নিরাপদ দেশ হবে।
এর আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল মানবিক দিক বিবেচনা করলে রুয়ান্ডা প্রকল্প একটি অবৈধ পরিকল্পনা। কিন্তু আদালতকে টপকে ঋষি সুনাক পার্লামেন্টে আইনটি পাস করান। এরপর মে মাস থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটকে ধরপাকড় শুরু হয়।
রুয়ান্ডা প্রকল্প বাতিল হলে আরও কিছু খাতের অর্থও ক্ষতির খাতায় যোগ হবে। এর মধ্যে রয়েছে রুয়ান্ডার বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আইনি ফি বাবদ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।
এছাড়া এ প্রকল্পে কর্মরত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনবলের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে যা অ-ফেরতযোগ্য। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.