পুরুষের পাশাপাশি এগিয়ে যেতে নারী জাগরণ দরকার : নারী সমাবেশে এমপি সেঁজুতি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসো দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাতক্ষীরায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির মাঠে সাতক্ষীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নারী নেতৃবৃন্দ ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যৌথ আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি জোন্সা ঢালীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ৩১৩, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি।
স্থানীয় নারী নেত্রী সুমী রাণী ও সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শমস, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসমত আরা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবি, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এড. আল মাহমুদ পলাশ, মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা সিদ্দিকী, পৌর কাউন্সিলর শেখ মারুফ হোসেন মিলন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মন্ডল, আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, শিক্ষক নেত্রী লিলিফা পারভীন, নারী নেত্রী মেহেরুন আফরোজ, গীতা রানী মাখাল প্রমুখ।
সমাবেশে শতশত নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় একাধিক নারী পুরুষ তাদের এলাকার সমস্যার কথা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতির কাছে তুলে ধরেন।
বক্তারা আরও বলেন, লায়লা পারভীন সেঁজুতি এমপি হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের মতো সবার সাথে হেসে কথা বলেন। না বলে আমাদের এলাকায় চলে এসেছেন। এতে আমরা অবাক হয়েছি। সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে স. ম আলাউদ্দীনের অবদান রয়েছে। তার কন্যা সাতক্ষীরা মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। নারী জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করছেন। নারীদের এগিয়ে নিতে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এলাকার রাস্তাঘাট, জলাবদ্ধতা ও সুপ্রেয় পানির সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এসময় লায়লা পারভীন সেঁজুতি এমপি বলেন, আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসিনি। আপনাদের সুখ দুঃখের সাথী হতে এসেছি। আপনাদের সমস্যার কথাগুলো শুনতে চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের জন্য যে কাজগুলো করছেন সেগুলো আপনাদের জানাতে এসেছি। আমাদের অনেক জনপ্রতিধি বিভিন্ন অনুদান দিয়ে নিজেদের বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু তারা মাধ্যম হিসেবে কাজ করে সেটা বলে না। চেয়ারম্যান মেম্বর বলে আমি দিয়েছি কিন্তু আসলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পক্ষ থেকে দেয়া হয়। অনেকে জনপ্রতিনিধি আছে তারা সেটা প্রচার করে না। প্রধামন্ত্রীর দেওয়া সাহায্য সহযোগিতা সবাই জানুক সেটাই আমার উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনতেই আমাদের এই আয়োজন। রাস্তা-ঘাট, জলবদ্ধতা, সুপেয় পানি সংকট সমস্যা আছে। এগুলো এক দিনেই পরিবর্তন বা সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে আমরা সমস্যাগুলো শুনে চিহ্নিত করে ধীরে ধীরে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সেঁজুতি এমপি আরও বলেন, নারীদের নিয়ে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে সেই কাজগুলোতে নারীদেরকে কাজে লাগানো হবে। যুব উন্নয়ন, অধিদপ্তর টিটিসি ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় নারীদেরকে সুযোগ দেয়া যাবে। সেখান থেকে নারীরা কাজ শিখে ভবিষ্যতে সেইগুলো কাজে লাগাতে পারবে। নারীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হলে নারী জাগরণ সম্ভব না। নারীদের সুসংগঠিত হতে হবে। পুরুষদের পাশাপাশি এগিয়ে যেতে হলে নারী জাগরণ দরকার। সরকার যে সুবিধাগুলো দিচ্ছে সেই সুযোগ শুধুমাত্র পুরুষরা না পায় নারীরাও সুযোগ-সুবিধা সঠিক ব্যবহার করতে পারে সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তি করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে পারে ও মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য ৪২ রকমের ভাতা প্রদান করেন। এই ভাতাগুলো তিনি দিচ্ছেন মানুষের ভালোর জন্য। আমরা জানিনা এই ভাতাগুলো কোথাকার। কোথা থেকে এই ভাতাগুলো প্রদান করা। শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করা মানে নিজের এলাকার উন্নয়ন। অতীতে অনেক সরকারকে আমরা দেখেছি। সে সময় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল। এক সময় বিদ্যুৎ ২ঘণ্টা থাকতো। এখন দু’ এক ঘন্টা বিদ্যুত না থাকলেই তাতে আমাদের কষ্ট হয়ে যায়। আগের তুলনায় রাস্তাঘাট অনেক ভালো। কিছু জায়গায় রাস্তাঘাট খারাপ আছে। সেটা আমাদের দুর্বলতা। আমরা সঠিক নেতা নির্বাচন করতে পারি না। সেজন্য এই উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আপনারা যে কোন দল করতে পারেন কিন্তু রাতের বেলায় ঘুমানোর আগে ভেবে দেখবেন। দিনশেষে সৃষ্টিকর্তার পর আমাদের ভালো রেখেছেন। আমাদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন। তিনি মানুষের কথা চিন্তা ভাবনা করেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য শিশু কার্ড, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা দিয়ে থাকেন। অনেকে পাচ্ছেন না কিন্তু পর্যায়ক্রমে তাদেরও হবে। আমাদের চাহিদা অনেক বেশি। সবকিছু যেন সরকার করে দেবে। এর আগে কেউ দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, নারীরা এখন চাকরির পিছনে ঘোরে না। তারা চাকরি দেয়। অনেক নারী উদ্যোক্ত হয়ে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সংসারের কাজের পাশাপাশি বাড়িতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ করতে হবে। উদ্যোক্ত হতে হবে তাহলে আমাদের যে দারিদ্র্যের সমস্যা সমাধান হবে। আপনারা উদ্যোক্ত হন আমি আপনাদের সহযোগিতা করবো। আপনাদের এলাকার সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবো।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মো. সেলিম হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.