পামেলা অ্যান্ডারসনের কাণ্ডজ্ঞান নেই

 

বিটিসি নিউজ ডেস্কগেল বছরের অক্টোবরে হলিউডে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনের সূচনা প্রযোজক হার্ভি ওয়েনস্টিনের ঘিরে একাধিক নারীর অভিযোগ। অনেক নারীই এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন, বলেছেন কীভাবে তাঁরা যৌন হেনস্তা ও অসদাচরণের শিকার হয়েছেন। অথচ সেই হলিউডেরই এক তারকা এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে। তিনি আর কেউ নন, নব্বইয়ের দশকের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পামেলা অ্যান্ডারসন।

মি টু আন্দোলনকে অনেকে সমর্থন দিলেও তাতে সায় নেই পামেলা অ্যান্ডারসনের। নব্বইয়ের দশকে টিভি শো ‘বেওয়াচ’ দিয়ে জনপ্রিয়তার চূড়ায় উঠেছিলেন পামেলা। জনপ্রিয় ‘প্লে বয়’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে একাধিকবার সাহসী ভঙ্গিমায় ধরা দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক টক শোতে এ আন্দোলনকে তুলোধুনো করলেন তিনি।

পামেলা মনে করেন, যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে, তবে আজকাল একটু বাড়াবাড়িই হচ্ছে, যা পুরুষদের পঙ্গু করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

আমি নিজেও নারীবাদী। কিন্তু এখনকার তৃতীয় তরঙ্গের নারীবাদ বিরক্তিকর। আমি মনে করি, এটা পুরুষকে পঙ্গু করে দেবে’, বলেন পামেলা। তিনি আরো বলেন, ‘এই হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনকে বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। আমি দুঃখিত, সম্ভবত এটা বলার জন্য আমাকে খুন করে ফেলা হবে।’

হার্ভি ওয়েনস্টিনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা তো বটেই, ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে পামেলা অ্যান্ডারসন বলেন, যে নারী হোটেল কক্ষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, তাঁর ‘কমন সেন্স’ বা কাণ্ডজ্ঞান থাকা উচিত।

পামেলা হেসে বলেন, মা আমাকে শিখিয়েছিল, অচেনা লোকের সঙ্গে হোটেল কক্ষে ঢোকা উচিত নয়। বাথরুমের কেউ দরজা খুললে তো কথাই নেই, সেটা কখনো পেশাগত মিটিং হতে পারে না। তাই কখনো অচেনা লোকের সঙ্গে হোটেলে দেখা করতে গেলে সঙ্গে কাউকে নিতে হয়। এইটুকু সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান তো সবারই থাকা উচিত। তা সত্ত্বেও কেউ যদি অচেনা কারো হোটেল কক্ষে ঢোকে, তাহলে আগেপরে ভেবেই নিশ্চয়ই গেছে। তাহলে আর প্রতিবাদ কেন? কাজ হাসিল করে বেরিয়ে এসো।

চলতি বছরের অক্টোবরে বলিউডে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন শুরু হয়।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.