পাবনা ফরিদপুর বিএনপির বহিস্কৃত মুক্তি-জিয়া এখন বসেন প্রথম সারিতে! হামলা করছে ত্যাগি নেতাদের

পাবনা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: দলের নির্দেশনা অমান্য করে  ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ  নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন পাবনার ফরিদপুর উপজেলা বিএনপি’র দুই নেতা নাসরিন পারভীন মুক্তি ও  জিয়াউর রহমান জিয়া।
মুক্তি উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও জিয়া উপজেলা বিএনপি’র সদস্য।
দলের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় সেসময় দল থেকে তাদেরকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। দলের বহিষ্কারাদেশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়ে পরাজয় বরণ করেন তারা। এরপর থেকে তাদের মধ্যে  আর দলে ফেরার কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। দেখা যায়নি দলের কোন সভা-সমাবেশে।
এ অবস্থায় গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার  গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর নড়েচড়ে বসেন বহিস্কৃত ওই দুই নেতা। দলের পদ বাগিয়ে নিতে এখন নিয়মিত সভা-সমাবেশে অংশ গ্রহণ করছেন তারা। দলের ত্যাগী নেতারা মঞ্চে জায়গা না পেলেও  বহিস্কৃত নেতা মুক্তি ও জিয়া এখন বসছেন প্রথম সারিতে।
আর দলের নির্দেশনা ছাড়াই বহিস্কৃত ওই দুই নেতাকে নিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালানোর অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক জহুরুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে।
এদিকে জহুরুল ইসলাম বকুল নিজেও ২০১৮ উপজেলা নির্বাচনে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।দলে ফিরেই বিশেষ তদবীরে হয়ে যায় আবার উপজেলা আহবায়ক।
তার বিরুদ্ধে গত সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নিজের হাতকে শক্তিশালী করতে বিএনপি নেতা জহুরুল ইসলাম বকুল দলের বহিস্কৃত নেতা ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মাঠে নামিয়েছেন। দলের দুর্দিনে যারা পাশে ছিলেন,জেল খেটেছেন তাদেরকে কোন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। উল্টো তাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে।
গত ১৭ আগস্ট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক আলতাফ হোসেনকে মারধর করে।উল্লেখ এই আলতাফকে বিস্ফোরক সহ প্রায় ৬টি মামলা দেয় আওয়ামীলীগ।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আব্দুল হাকিম খান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি নেতা বকুল দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বহিস্কৃত নেতা ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের নিয়ে দলের সভা-সমাবেশ করছেন।
এছাড়া দলের  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অমান্য করে এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার,পুকুর ও জমি দখল করে চলেছেন। যা দলকে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাবনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফরিদপুর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক জহুরুল ইসলাম বকুল বলেন,’ মুক্তি ও জিয়া  দু’জনই এক সময় বিএনপি’র রাজনীতি করতেন। দলে তাদেরও অবদান রয়েছে। তাই দলের সভা-সমাবেশে তারা থাকতেই পারেন।এতে তো দোষের কিছু দেখছি না।
তিনি আরও বলেন, তিনি হাট-বাজার বা জমি দখলের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নন। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে কেউ মিথ্যা অভিযোগ করতে পারেন।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.