বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটায় সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত ৫০টি লোহার সেতু ও ১৫টি পাকা সেতুর মধ্যে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে রয়েছে লোহার ১৬টি সেতু। এর মধ্যে বেশকিছু সেতু ভেঙে খালে পড়ে আছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন হাজারো পথচারী।
পাথরঘাটা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় লোহার ও পাকা মোট ৬৫টি সেতুর মধ্যে দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে ১৬টি সেতু। তাদের তথ্য অনুসারে এসব সেতু ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বরগুনার হলদিয়া হাট সেতুর মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা। গত ২২ জুন হলদিয়া হাট আয়রন সেতু ধসে মাইক্রোবাসসহ খালে পড়ে ৯ জন মারা যায়। এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য আতঙ্ক বিরাজ করছে তাদের মধ্যে। তাই এসব সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবি জানান তারা।
স্থানীয়রা আরও জানায়, অধিকাংশ সেতুতে নেই ঝুঁকিপূর্ণ লেখা নোটিশ বোর্ড। উপজেলার কাঠালতলীর ইয়াসিন, রাব্বি, হোসেন আলী, স্বপন সাহা বলেন, নির্মাণের পর থেকে একবারের জন্যও সংস্কার করা হয়নি সেতুটি। এ কারণে সেতুটির একপাশ দেবে যাওয়ার পাশাপাশি মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে লোহার অ্যাঙ্গেল। বিভিন্ন স্থানে ভেঙেছে লোহার খুঁটিও। যানবাহন তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষ হাটলেও ঝাঁকুনি দেয় সেতুটিতে। তারপরও বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই সেতু পার হচ্ছে মানুষ ও যানবাহন।
উপজেলার চরদুয়ানী এলাকার জামান, নান্নু সোবাহান সৌরভ বিটিসি নিউজকে বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে রোগী পার করতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাদের আবেদন সেতুটি সরিয়ে ফেলুক আর না হয় দ্রুত সংস্কার করা হোক। এসব সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা পারাপার হয়। এ সেতুটি দিয়ে চলাচলের জন্য উপজেলা নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কাঠ দিয়ে মেরামত করে দিয়েছে। কিন্তু অতি বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবার ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।
জানতে চাইলে পাথরঘাটা এলজিইডি প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী এ বিষয়ে বিটিসি নিউজকে বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলায় ১৬টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর তালিকা করা হয়েছে। এগুলো নির্মাণের জন্য বাজেট আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পুর্ননির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোতে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে অনেক আগে থেকেই। যেসব নোটিশ বোর্ড নষ্ট হয়েছে সেগুলো পুনরায় লাগানো হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বরগুনা প্রতিনিধিমো. শফিকুল ইসলাম শফিক। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.