বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ছিনতাই করা ট্রেন থেকে সব জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার (১২ মার্চ) উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। অভিযানে ৩৩ জন হামলাকারী নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ৩৪৬ জন জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় ২৭ জন জিম্মি ও এক আধাসামরিক সেনা নিহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জাফার এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালিয়ে ট্রেনটি ছিনতাই করে বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা। ওই সময় ট্রেনটিতে ৪০০ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। যাদের সবাইকে জিম্মি করা হয়।
এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এর মুখপাত্র জিয়ান্দ বেলুচ এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ যদি তাদের কারাবন্দি যোদ্ধাদের মুক্তি দিতে রাজি হয় তবে দলটি জিম্মি যাত্রীদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত।
এরপর জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। দেশটির সেনাবাহিনীর ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী অভিযান সমাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ), স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি), সেনাবাহিনী এবং ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) এর ইউনিটগুলি এতে অংশ নেয়।
ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসীরা ১১ মার্চ বোলানে একটি রেললাইনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালায়, জাফর এক্সপ্রেস থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা জিম্মিদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা জিম্মিদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে রাখে এবং তাদের মধ্যে আত্মঘাতী হামলাকারীদের বসিয়ে দেয়। নিরাপত্তা বাহিনীর স্নাইপাররা আত্মঘাতী হামলাকারীদের নিষ্ক্রিয় করে। তার কথায়, ‘৩৩ জন সন্ত্রাসীকে জাহান্নামে পাঠানো হয়েছে…ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের সময় কোনো যাত্রীর কোনো ক্ষতি হয়নি।’ #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.