বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নতুন করে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্সে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েলের নতুন বসতি স্থাপন কার্যকরভাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের একটি নীতির বিপরীত।
তিনি আরও বলেন, ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের দীর্ঘস্থায়ী নীতি ছিল- ফিলিস্তিনে নতুন বসতি ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য বিপরীতমুখী পদক্ষেপ। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গেও অসঙ্গতিপূর্ণ।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ অধিকৃত পশ্চিম তীরে তিন হাজার তিনশর বেশি নতুন ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাকে হতাশাজনক বলেও মন্তব্য করেছেন ব্লিঙ্কেন।
বসতি সম্প্রসারণের জন্য ইসরায়েলকে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে পারে তার উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসন বসতি সম্প্রসারণের দৃঢ় বিরোধিতা করে। আমাদের বিচারে এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করে না, বরং আরও বেশি দুর্বল করে।
২০১৯ সালে পশ্চিম তীর,গোলান হাইটস এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনকে সমর্থন করেছিল তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
এদিকে, বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের অধিকাংশই এই বসতিগুলোকে অবৈধ এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সম্প্রসারণ হিসেবে দেখছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্লিঙ্কেনের অবস্থান বিভিন্ন রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রশাসনের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে হাজার হাজার নতুন বসতি স্থাপনকারী বাড়ি নির্মাণের সর্বশেষ ইসরায়েলি পরিকল্পনার নিন্দা করেছে জার্মানি।
ফিলিস্তিনের মালে আদুমিমে দুই হাজার ৩৫০টি, কেদারে তিনশটি এবং এফ্রাতে ৬৯৪টি নতুন আবাসন ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.