পবিত্র শবেমেরাজের ঘটনা ও ইতিহাস

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: মেরাজ অর্থ হলো ঊর্ধ্বগমন। লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী মূলত শবে মেরাজ হিসাবে আখ্যায়িত। এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অলৌকিক উপায়ে উর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সফরে নবীজিকে তিনটি উপহার দেওয়া হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সূরা বাকারার শেষ আয়াত গুলো এবং এই উম্মতের যারা শিরক থেকে বেঁচে থেকে মৃত্যুবরণ করবে— তাদের গুনাহ গুলো মাফ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা যায়, মহানবী (সা.) কর্তৃক সশরীরে সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় জিবরাইল (আ.) ও মিকাইল (আ.) এর সঙ্গে বিশেষ বাহন বোরাকের মাধ্যমে মেরাজের রাতে সফর করেন। তিনি মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে প্রথম আসমানে গমন করেন।
এরপর ধারাবাহিকভাবে সপ্তম আসমান এবং সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আজিম পর্যন্ত ভ্রমণ করে মহান রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন। পাশাপাশি জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন করে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থাৎ ফরজ নির্ধারণ করা হয়। এই মেরাজের মাধ্যমেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।
এ সফরে নবীজিকে জান্নাত-জাহান্নামে ভ্রমণও করানো হয়। নবীজি বলেন, জান্নাতের প্রাসাদগুলো মুক্তার তৈরি আর তার মাটি হলো মেশকের। নবীজি এ সফরে একদল লোককে দেখলেন, তাদের নখগুলো তামার। নিজেদের নখ দিয়ে তারা নিজের গাল ও বুকে আঁচড় কাটছে।
জিবরাঈল আ. জিজ্ঞাসা করলেন এরা কারা? বললেন, এরা ওই সমস্ত লোক, যারা গীবত করত এবং মানুষকে লাঞ্ছিত করত। জান্নাতে হযরত ইবরাহীম আ.-এর সাথে মুলাকাত হলে তিনি নবীজিকে বলেন, আপনি আপনার উম্মতের কাছে আমার সালাম পৌঁছাবেন। আর তাদেরকে বলবেন, জান্নাতের মাটি পবিত্র ও সুঘ্রাণযুক্ত, এর পানি সুমিষ্ট এবং এর ভূমি উর্বর ও সমতল। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.