পঞ্চগড়ে দুই একর জমিতে ফুল চাষ প্রকল্প ব্যয় ৮০ লাখ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভারত- বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার দর্জিপাড়া গ্রামে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়েছে ইএসডিও।
স্থানীয়দের দাবী তেঁতুলিয়ার মতো গরীব এলাকার জন্য এতো বেশি দামী ফুল চাষ নয়। তাদের অভিযোগ প্রকল্পের টাকা লুটপাট করার জন্য সংস্থাটি এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ফুল বিক্রি আর পর্যটকদের বাগানে প্রবেশ ফি দিয়েই ব্যয় উত্তোলনের আশা প্রকল্প কর্মকর্তাদের।
প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য দরিদ্র, অতিদরিদ্র প্রান্তিক চাষীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। তার সাথে তেঁতুলিয়া উপজেলার পর্যটন শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতেই এ প্রকল্প। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্ট এর আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় টিউলিপ ফুল চাষ প্রকল্প। ২০ জন উদ্দোক্তার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।
তাদের দেয়া তথ্যমতে,নেদারল্যান্ড থেকে প্রতি পিচ ফুল গাছের বাল্প (বীজ) আনতে ৫৫ টাকা খরচ। দুই একর জমিতে ১০ রংয়ের এক লাখ বীজ রোপন করা হয়েছে। বীজের দাম ছাড়াও শেড নেট, ফেন্সিং নেট, রাসায়নিক সার, জৈবসার, কীটনাশক ও শ্রমসহ ৮০ লাখ টাকা খরচ।
প্রকল্প সম্বনয়কারী কল্যাণ মহন্ত জানান, বাগানের ভিতরে প্রবেশ ফি ৫০ টাকা, একটি ফুল ১০০ ও টব ২০০ টাকা বিক্রির নির্ধারিত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,একটি ফুল কিনতে বা দেখতে গেলে দর্শনার্থীদের বাগানে প্রবেশের জন্য প্রতিজন গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। এছাড়াও বাগানে প্রবেশের সামনে খাওয়ার হোটেল, পান সিগারেটের টং দোকান থাকলেও ক্রেতার কোন সমাগম চোখে পড়েনি।
পঞ্চগড় থেকে টিউলিপ ফুলের বাগান দেখতে আসা শাহজাহান, মিলন, আলিম জানান, বাগান দেখতে ভালই লাগলো তবে প্রবেশ টিকিটের ফি ও ফুলের দাম অনেক বেশি। সবার পক্ষে সেখানে যেতে ও ফুল কেনা সম্ভব না।
উদ্দোক্তা রবিউল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, ১০ জানুয়ারীতে ফুলের বাল্প (বীজ) রোপন করা হয়েছে।২০ দিনেই ফুল ফুটতে শুরু করেছে, ফুটার পর থাকবে আরো ৩০ দিন।
প্রোগ্রাম ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর আইনুল হক বিটিসি নিউজকে জানান, ট্যুরিজমের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষীদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করা প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য। আমরা স্থানীয় ভাবে যতটা ফুল বিক্রি করতে পারি এছাড়াও ঢাকা ফুল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি তারা আশ্বাস দিয়েছেন ফুল ক্রয়ে। শুধু বীজের দামটা একটু বেশি পড়ে যায়। কৃষি অধিদপ্তর যদি সহযোগিতা করে তাহলে হয়ত এ খরচ আরো কমে আসবে।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বিটিসি নিউজকে জানান, এলাকায় টিউলিপ ফুল পর্যটনের জন্য কিছুটা ভুমিকা রাখবে। খরচের বিষয়টা আসলে বলা যাবেনা। তবে এতো বেশি খরচ হওয়ার কথা না। এ অঞ্চলে ১০০ টাকায় ফুল বিক্রি না হলেও ঢাকা অঞ্চলে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যিনি বাংলাদেশের প্রধান উদ্দোক্তা আমি কিছু দিন আগে কথা বলেছিলাম তারা জানায় ৪০-৪৫ আনতে খরচ হয়।ডলারের কারনে দাম কম বেশি হতে পারে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাহামুদুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, পর্যটকদের জন্য টিউলিপ ফুল চাষ একটা ভাল দিক তবে এতো বেশি টাকা খরচ হওয়ার কথা না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.