বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিনল্যান্ডকে সামরিক জোট ন্যাটোতে (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) অন্তর্ভুক্ত করতে অনুমোদন দেবে তুরস্ক। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ মার্চ) পার্লামেন্টে এই ঘোষণা দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ফলে পশ্চিমা মিত্রদের সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বের বৃহত্তম এবং প্রভাবশালী এই সামরিক জোটে যোগদানে উত্তর ইউরোপের দেশটির সবচে বড় বাধা কাটল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাজধানী আঙ্কারায় ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোকে পাশে নিয়ে এ ঘোষণা দেন এরদোগান। তিনি বলেন, ‘আমরা সংসদে ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের যোগদানের সমর্থন প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ আগামী মাসের মধ্যেই এটি চূড়ান্ত হবে বলেও জানান তিনি।
এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্ট নিনিস্তো এটিকে ‘ফিনল্যান্ডের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন।
তবে ফিনল্যান্ডকে সমর্থন করলেও সুইডেনকে অনুমোদন দিচ্ছে না তুরস্ক। তুরস্কের আপত্তিতে তাই ন্যাটোভুক্ত হতে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দেশটির অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
প্রতিক্রিয়ায় সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলসটর্ম ন্যাটো সাধারণ সভার আগেই সুইডেনকে জোটের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশাবাদ জানান। এবছরের জুলাইয়ে লিথুনিয়াতে ন্যাটো সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের সীমান্ত আছে ফিনল্যান্ডের। আর সুইডেনের গোটল্যান্ড দ্বীপ রাশিয়ার বাল্টিক সাগর তীরের কালনিনগ্রাদ ঘাঁটির ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে। নিজেদের সুরক্ষিত করতেই দীর্ঘদিন ধরেই ন্যাটো সদস্য হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ।
৩০ সদস্যের এই জোটের প্রত্যেক সদস্যের সমর্থন থাকলেই কেউ নতুন সদস্যে হতে পারবে কোনো এক সদস্য দেশ যদি কোনো দেশের ব্যাপারে আপত্তি জানায় তবে সে সদস্য হতে পারবে না।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করে তুরস্ক। দেশটির অভিযোগ পিকেকে’কে আশ্রয় ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দিয়ে আসছে সুইডেন। (সূত্র: রয়টার্স)। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.