খুলনা ব্যুরো:বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত তিনটি অত্যাধুনিক ডাইভিং বোট—পানকৌড়ি, গাংচিল এবং মাছরাঙ্গা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)খুলনা নেভাল বার্থে আয়োজিত কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান। তিনি বোটগুলোর অধিনায়কদের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতিনীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নৌ সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ১০ জুন খুলনা শিপইয়ার্ডে ‘কিল লেয়িং’ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বোটগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। টেস্ট ট্রায়াল শেষে চলতি বছরের ৬ মে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় এই অত্যাধুনিক বোটগুলো। এ গুলোর দৈর্ঘ্য ৩৮.৯০ মিটার,প্রস্থ: ৯ মিটার। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ নটিক্যাল মাইল গতিবেগ চলাচল করবে।
প্রতিটি বোটেই রয়েছে আধুনিক ডুবুরি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য Retractable Mast, Launch and Recovery System, Deck Decompression Chamber, ১২.৭ মিমি হেভি মেশিন গান সার্ভেইল্যান্স র্যাডার, GPS, ইকো-সাউন্ডার ও কন্ট্রোল সিস্টেম এর সুবিধা রয়েছে। এই বোটগুলো নৌবাহিনীর ডুবুরিদের কার্যক্ষমতা ও সাড়াদানের গতি বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
কমিশনকৃত ডাইভিং বোটসমূহ শান্তিকালীন সময়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রদান,ডাইভিং অপারেশন ও উদ্ধার অভিযান স্যালভেজ কার্যক্রম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ত্রাণ সহায়তা, সমুদ্র এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
১৯৭১ সালে অপারেশন জ্যাকপট-এ ডুবুরিদের সাহসী ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলা যায়, এই ডাইভিং ইউনিট ও বোটগুলো বাংলাদেশের নৌ ইতিহাস ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.