নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেই স্বর্ণ জিতলেন হারমানপ্রীত

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞা থাকায় এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি হারমানপ্রীত কৌর। কোয়ার্টার, সেমিফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। আর ভারত ফাইনালে ওঠায় অধিনায়ক হয়েই ফিরেছেন হারমানপ্রীত। ফেরার ম্যাচটাই হয়ে থাকল স্মরণীয়। শ্রীলঙ্কাকে হেসেখেলে হারিয়ে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটের স্বর্ণ জিতল ভারতীয় দল।
হাংঝুর পিংফেং ক্যাম্পাস ক্রিকেট ফিল্ডে ফাইনালে আজ ভারতের দেওয়া ১১৭ রানের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই হোঁচট খায়। ৪.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের স্কোর দাঁড়ায় ১৪ রান। অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু, উইকেটরক্ষক আনুস্কা সঞ্জীবনী, ভিশ্মি গুনারত্নে-লঙ্কার প্রথম ৩ উইকেটই নিয়েছেন ভারতের পেস বোলার তিতাস সাধু। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন হাশিনি পেরেরা ও নিলাক্ষী ডি সিলভা। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন পেরেরা ও ডি সিলভা। দশম ওভারের পঞ্চম বলে পেরেরাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড। ২২ বলে ২৫ রান করেন পেরেরা।
পেরেরা ফেরার পর শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট ৫০ রান। এরপর উইকেটে আসেন ওশাদি রনসিঙ্গে। শেষ ৬১ বলে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে দরকার ছিল ৬৭ রান। তবে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয়ের ধারে কাছেও যেতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৪ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা যোগ করেছে ৪৭ রান। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে আটকে যায় লঙ্কানদের ইনিংস।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই এগোতে থাকে ভারত। ১৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮৯ রান করে তারা। শ্রীলঙ্কার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের ইনিংসের ধস নামে এখান থেকেই। শেষ ৩২ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত যোগ করেছে ২৭ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারতীয়রা করে ১১৬ রান। ভারতের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন স্মৃতি মান্ধানা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন জেমিমা রদ্রিগেজ। মান্ধানা, রদ্রিগেজ ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সুগন্দিকা কুমারী, আইনোকা রনবীরা ও উদেশিকা প্রবোধনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.