বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের নৌবাহিনীর কাস্পিয়ান নৌবহরে যোগ হয়েছে আরও একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ। ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণে সক্ষম যুদ্ধজাহাজটি কাস্পিয়ান সাগরে তেহরানের নৌশক্তি ও সামর্থকে আরও জোরদার ও অপ্রতিরোধ্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চারদিক শত্রুবেষ্টিত ইরান নিজের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে এবার সামনে আনলো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, সোমবার (২৭ নভেম্বর) যুদ্ধজাহাজটির উদ্বোধন করা হয়েছে।
যুদ্ধজাহাজটির নাম দেইলামান ডেস্ট্রয়ার। ইরানের গিলান প্রদেশের প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও অনিন্দ্য সুন্দর অঞ্চলের নাম দেইলামানের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে।
লম্বায় ৯৫ মিটার (৩১২ ফুট) আর প্রস্থে ১১ মিটার (৩৬ ফুট) যুদ্ধজাহাজটির ওজন ১ হাজার ৪০০ টন। গতি ঘণ্টায় ৩০ নটিক্যাল মাইল (ঘণ্টায় ৩৬ মাইল বা ৫৬ কিলোমিটার)।
তবে যুদ্ধজাহাজটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি চলন্ত অবস্থায় একই সঙ্গে ক্রুজ ও টর্পেডো মিসাইল ছুড়তে সক্ষম। এটা জাহাজ, ড্রোন, হেলিকপ্টার, সাবমেরিন এবং এমনকি যুদ্ধবিমানসহ একই সঙ্গে ১০০টি টার্গেট শনাক্ত ও সেগুলো লক্ষ্য করে আঘাত হানতে পারে।
দেইলামান ডেস্ট্রয়ার উদ্বোধনের দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন বাকেরি। উদ্বোধনী বক্তব্যে কাস্পিয়ান সাগরকে ‘শান্তি ও বন্ধুত্বের সাগর’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ইরানের নৌশক্তি এই অঞ্চলে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও সন্ত্রাস মোকাবিলা করে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
কাস্পিয়ান সাগর আয়তনে অনুসারে পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ। একে পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যার চারপাশে রাশিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ইরানের অবস্থান। এই সাগরে ‘কাস্পিয়ান সী ফ্লিট’ নামে ইরানের যে নৌবহর রয়েছে তার ষষ্ঠ যুদ্ধজাহাজ হিসেবে যোগ হলো দেইলামান ডেস্ট্রয়ার।
ইরানের যুদ্ধজাহাজগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাঝেমাঝেই রুশ ও আজারবাইজানের নৌঘাঁটি পরিদর্শন করছে। তবে ইরান ইসরাইলের সাথে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্কের জন্য আজারবাইজানের সমালোচনা করে আসছে।
কাস্পিয়ান সাগরের বৃহত্তম নৌশক্তি রাশিয়া। তবে ইরান ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিক থেকে এখানে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সচেষ্ট এবং ১৯৯০-এর দশক থেকে নৌশক্তি বাড়াচ্ছে। কাস্পিয়ান সাগরের তীরে ইরানের তিনটি নৌঘাঁটিও রয়েছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.