নাটোরে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সাবেক এক ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজের (৬৫) বিরুদ্ধে।
আবু সাঈদ গুরুদাসপুরের উদবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা, তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি। তাঁকে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্র ও স্থানীয়রা জানায়, আবু সাঈদ ফেসবুকে জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজের নির্দেশে তাঁর চার কর্মী গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ধারাবারিষা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শারমিন সুলতানা জানান, আবু সাঈদ শরীরে কালশিরা ফোলা ও জখম নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে এই প্রতিনিধি বিএনপি নেতা আবদুল আজিজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, সন্ধ্যা থেকে একটা আমি মাহফিলে ছিলাম। সাঈদকে মারার নির্দেশ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হয়ে আবু সাঈদ ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কট‚ক্তিমূলক লেখালেখি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার কিছু অনুসারী তাঁকে নিষেধ করতে গেলে হাতাহাতি হয়। এতে আমার লোকজনও আহত হয়েছে।
এবিষয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গতরাতে আবু সাঈদ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটি তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, নাটোর জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হকের ছেলে। তাঁর সঙ্গে যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আজিজের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.