নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ার পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল কুদ্দুস নামের দুইজন ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের উপস্থিতিতে আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান ও মামলার সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা ভিকটিমকে প্রতিবেশী চাচা ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার নাম করে নিয়ে যায়। সেখানে তারা একটি হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় রাত্রি যাপন করে। রাত্রি যাপন কালে সাইফুল ইসলাম ভিকটিমকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে চাকরি খোঁজার নাম করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সাইফুল ইসলাম।
এই ঘটনায় ভিকটিম বাড়িতে ফিরে এসে ২০ অক্টোবর নিজে বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলার ২০ বছর পর আদালত একটি ধারায় সাইফুলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং অপর একটি ধারায় তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। সেই সাথে আদালত আরও আদেশ দেন যে, যাবজ্জীবন কারাদন্ড শেষ হওয়ার পর ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড শুরু হবে।
অপর একটি শিশু ধর্ষণ মামলায় আব্দুল কুদ্দুস নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২০ জুন দুপুরে বাগাতিপাড়া উপজেলার খাটখৈর গ্রামের আট বছরের এক শিশু কন্যাকে বাদাম খাওয়ানোর কথা বলে আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক বখাটে। ধর্ষণের ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য ধর্ষণের পর ওই শিশুটিকে হত্যা করে আব্দুল কুদ্দুস। এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.