নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বড়াল নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু এক বছর আগে ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ১০ গ্রামের লাখো মানুষ। সেতুর ধসার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে পায়ে হেটে পারাপারের জন্য তৈরি হয় কাঠের সাঁকো। এবার চরম বৃষ্টিতে সেটিও ধ্বসে পড়েছে।
বর্তমানে সেতুর জায়গায় দুটি বাঁশ ঝুলিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হচ্ছে ওই এলাকার মানুষজন। সেতু ধ্বসের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তা নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে, জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
এলাকাবাসী জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকার লক্ষীকোল-কয়েন আঞ্চলিক সড়কের চক-বড়াইগ্রাম এলাকায় বড়াল নদীর ওপরের সেতুটি প্রায় এক বছর আগে ধ্বসে পরে। বন্ধ হয়ে যায় এই সেতু দিয়ে নগর ইউনিয়নের ও পৌর এলাকার লাখো মানুষের চলাচল।
এই সেতু ধ্বসের ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, থানা, পৌর সেবা গ্রহন করতে মানুষকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে। বড়াইগ্রাম পাইলট, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারছে না।
বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন নিজ উদ্যোগে কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরী করে দেন। কিন্তু গত শুক্রবার বড়াল নদীতে পানি বৃদ্ধি কারণে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হলে সেটিও ধ্বসে পরে। ফলে আবারও যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন বিটিসি নিউজকে বলেন, মানুষের পায়ে চলাচল করার জন্য আবারও সেতুটি সংস্কার করার প্রস্তুতি চলছে। নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) জানানো হয়েছে।
বড়াইগ্রামের এলজিইডি প্রকৌশলী রবিউল আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, সেতুটি নির্মানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার ম্পেশাল বরাদ্দ থেকে সেতুটি নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। এই সেতুটি বড়ালনদীর উপরে নির্মাণ করতে হবে।কিছুটা জটিলতা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সাথে কথা হয়েছে যেন বড়াল নদী খননের সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.