নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি উন্মোচন করল ইরান

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি উন্মোচন করেছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী-আইআরজিসি। ঘাঁটিতে অবস্থিত অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উন্নত ব্যবস্থায় সজ্জিত এবং সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে লক্ষ্যবস্তুতে আহাত হানতে পারে।
আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলের এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আইআরজিসি সদস্যসহ ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দেশকে রক্ষা ও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
সালামি আরও বলেন, গত সপ্তাহগুলোতে ইরান যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি উন্মোচন করেছে, তা দেশের শক্তির অংশ। এর লক্ষ্য শত্রুদের ভুল হিসাব করা থেকে বিরত রাখা।
আইআরজিসি’র নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলীরেজা তাংসিরিও ক্ষেপণাস্ত্র নগরীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ফাঁকে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, নতুন উন্মোচিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কদর-৩৮০ মডেলের মতো, যা পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের প্রস্তুতিতে উৎক্ষেপণযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এর অ্যান্টি-জ্যামিং ক্ষমতা রয়েছে, যার ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আইআরজিসি’র নৌবাহিনী দিন দিন ইরানের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং যে কোনো হুমকির জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান অ্যাডমিরাল আলীরেজা।
গত ১৮ জানুয়ারি আইআরজিসি নৌবাহিনী পারস্য উপসাগরের একটি অজ্ঞাত স্থানে ভূগর্ভস্থ একটি নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি প্রদর্শন করে।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ফোর্স আরেকটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচন করে।
ইরান বলেছে, তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধক।
জানুয়ারির শুরুর দিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দেশজুড়ে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করে। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের নকল হামলা থেকে মধ্য ইরানের নাতাঞ্জে পরমাণু স্থাপনা রক্ষা করে আইআরজিসি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.