দেশি মাছ ও মা ইলিশসহ ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে গৃহীত কর্মসূচি শুধুই কি লোক দেখানো?

বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার দিঘলিয়াসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাসমুহে দেশী মাছ ও ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির ঢিলেঢালা বাস্তবায়ন দৃষ্টে জনমনে জিজ্ঞাসা এ কর্মসূচি কি মৎস্য বিভাগের লোক দেখানো?
সংশ্লিষ্ট ও পরিদর্শনে জানা যায়, দেশী মাছ সংরক্ষণে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি পালন ও ইলিশ মাছ সংরক্ষণে নানা কর্মসূচি পালনকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানো ঢিলেঢালা পদক্ষেপ বলে বিজ্ঞমহলের অভিমত।
দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন খালে বিলে অবাধে পাটা ও কারেন্ট জালসহ নানা মাছ ধরা যন্ত্র দিয়ে মাছ শিকার করে দেশী মাছ ধ্বংস করছে। এ জনপদের আতাই, ভৈরব ও মজুদখালী নদীতে প্রায় সারা বছরই ভাসান জাল, কারেন্ট জাল, চরঘেরা জাল, টানা জালসহ নানা ধরণের জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে চলেছেন মাছ শিকারীরা। মাঝে মধ্যে এ সকল মাছ শিকার প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করা ও জাল উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করলেও সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপরাধীদের ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড দেওয়া হয় না।
এ দিকে এলাকার মৎস্য শিকারের বড় ধরণের হাটের মধ্যে ফুলতলা উপজেলার ফুলতলাসহ খুলনার নানা হাটবাজারে দেদারসে কারেন্ট জালসহ নানা জাল বিক্রি হচ্ছে অবাধে। সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয় না এমনটিই জানান এলাকাবাসী।
এ দিকে দিঘলিয়া উপজেলাসহ খুলনার বড় বড় আড়ৎগুলোতে অভিযানকালীন নিষিদ্ধকালীন সময়ে মা ইলিশ ও জাটকা বাজারজাতকরণ ও বেচাকেনা চলে অবাধে। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে বেচে নিয়ে নিষিদ্ধ মাছ জাটকা, মা ইলিশ, আফ্রিকান মাগুর, পিরানহা মাছ বাজারে বিক্রি করে অবাধে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও পুরাপুরি আইনের প্রয়োগ সম্ভব হয়নি এমনটাই জানিয়েছেন লোকজন। আগামীতে এ ব্যাপারে শতভাগ আইনের প্রয়োগ হবে এমনটাই দিঘলিয়ার মানুষের।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.