দুর্নীতিতে আলোচিত দুদকের মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ সাবেক কর্মচারী কারাগারে, মেয়রের জামিন বহাল

বাগেরহাট প্রতিনিধি: অনিয়ম-দূর্নীতিতে আলোচিত বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ জন কর্মচারীকে দুদকের মামলায় রবিবার কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। আর এ মামলার প্রধান আসামী পৌরসভার মেয়র খান হাবীবুর রহমানের জামিন বহাল রয়েছে।

দূর্নীতির ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট পৌরসভায় ১৭ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে রাস্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলার এ আসামীরা আদালতে হাজির হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মিলন কুমার ব্যানার্জি জানান, এ সময় মামলার অপর দুই আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন এবং পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান জামিনে রয়েছেন।
রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌরসভার সাবেক ১৫ কর্মচারী জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামীরা হলো, দিপু দাস পাম্প (অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাচান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার পাল (পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা (পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), সাব্বির মাহমুদ (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী)।
মামলা সূত্রে প্রকাশ, ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে বাগেরহাট পৌরসভার পাম্প অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগ প্রত্যাশীদের যোগসাজশে এ অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তরা ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত বেতনভাতা-বাবদ সরকারের ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক খান হাবিবুর রহমানসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত গত ২৬ জুন চার্জশিট অনুমোদন করেন। এ মামলার প্রধান আসামী বাগেরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র খান হাবিবুর রহমান উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.