বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি:দিঘলিয়া থানায় ভাতিজা কর্তৃক চাচাকে কুপিয়ে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম মামলায় মহামান্য আদালত অবশেষে তিন ভাইপোকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও অর্থদন্ড দিয়েছে। চার বছর ধরে ভাতিজাদের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই শেষে চাচার বিজয় হলো। ঘটনাটা দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের হাজীগ্রাম উত্তর পাড়া এলাকার।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ৩১/০৩/২০২১ ইং তারিখে হাজীগ্রাম নিবাসী আমজাদ শেখ বাড়িতে বালি ভরাট করার সময় বালি গড়িয়ে ভাইপোদের সীমানায় চলে যায়। এ বালি কোদাল দিয়ে কেটে আনাকে কেন্দ্র করে (১) ভাইপো সবুর (৪০), (২) নাজমুল(৩০), (৩) আলী হোসেন(২২) সর্ব পিতা ইয়াসিন শেখ ও ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন (৫০) মৃত আকুব্বর শেখের পুত্র আমজাদ শেখ (৫০) ও পুত্র মোঃ আমীর হোসেন (২২) ও ইমাম হোসেন (১৭) কে কুপিয়ে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম করে।
এ ঘটনায় দিঘলিয়া থানায় আমজাদ শেখের স্ত্রী সাবিনা বেগম মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১০ তারিখ ৩১/০৩/২০২৩ইং। ধারা ১৪৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭ দন্ডবিধি। দীর্ঘকাল মামলা চলার পর গত ২/১০/২০২৪ ইং তারিখে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এক রায়ে সকল আসামীদের উক্ত মামলা থেকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
অতপর উক্ত মামলার বাদী সাবিনা বেগম তার মামলায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ে সন্তোষ্ট না হতে পেরে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪১৭ ধারামতে বিজ্ঞ জেলা আদালতে আপিল করেন।
দিঘলিয়া জিআর-৩০/২১, টিআর নম্বর-১৩৯/২০২১, দিঘলিয়া থানার মামলা নং ১০ তারিখ ৩১/০৩/২০২১ ইং ধারা ৩২৫/৩২৬/৩০৭ ধারা দন্ডবিধি মোতাবেক মামলার স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালত খুলনা উক্ত মামলার আসামী নাজমুলকে ৩২৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়। সবুর শেখ ও আলী হোসেনকে ৩২৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেছেন।
অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। মামলার অপর আসামী পারভীনকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন। গত ০৬/০৩/২০২৫ ইং তারিখ বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালত খুলনার বিচারক চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী এ রায় প্রদান করেন।
এ রায়ের পর দন্ডপ্রাপ্ত আসামীগণ আত্নসমর্পণের পর আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.