বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি:দিঘলিয়ায় মামলার বাদী ও তার পুত্রকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে বিবাদীগণ ও তাদের স্বজনেরা। দিঘলিয়া থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করে হয়রানী ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে বাদীকে।
সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের হাজীগ্রাম নিবাসী মৃত নেছার উদ্দিন খাঁনের পুত্র মোঃ আয়ুব খান (৪৫), তার দুই পুত্র মোঃ আরিফ খান ও মোঃ অন্তর খান জমিজমার বিরোধের জের ধরে মৃত নেছার উদ্দিন খানের অপর পু্ত্র মোঃ অন্তর খান ধারালো দেশী অস্ত্র ও লোহার শাবল দিয়ে সাবেক সেনা সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেনকে (৪৭) কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে এবং তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার শারমিনকে (২৭) শাবল দিয়ে পিটিয়ে মারাত্নকভাবে আহত করে। তাকে অমানবিক নির্যাতনের কারণে সে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। তার পিঠের ও হাতের হাড় ভেঙ্গে গেছে।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৪ তারিখ ২১/৪/২০২৫ ইং। ধারা ৩২৩/৩২৪/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলা আদালতে চলমান।
এদিকে আনোয়ার হোসেন মামলা দায়ের করা ও আসামী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আসামীর ভগ্নীপতি রফিকুল ইসলাম ও আসামীগং মাকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার দপ্তরে দাখিল করছে। উদ্দেশ্য একটাই তা হলো বাদীকে হেনস্তা করা ও জমিজমা থেকে বাদী আনোয়ারকে বঞ্চিত করা এবং তার কলেজ পড়ুয়া ছেলের জীবনকে ধ্বংস করা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাবেক সেনা সদস্য আনোয়ারের উপর হামলা ও কুপিয়ে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম কারী ও তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার শারমিনকে শাবল দিয়ে অমানবিক নির্যাতনকারীদের আচরণ পশুসুলভ। আনোয়ার চাকুরীরত অবস্থায়ও এ আসামীগং একাধিকবার বাদীর স্ত্রীর উপর হামলা ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আর তাদের একটাই উদ্দেশ্য আনোয়ারকে পৈত্রিক জমিজমা থেকে বঞ্চিত করা। আর এ ষড়যন্ত্রের পিছনে ইন্দন যোগাচ্ছে আনোয়ারের দায়েরকৃত মামলার আসামীগং ও বাদীর বোন তহমিনা বেগম ও সালমা। নেপথ্যে রয়েছে সাবেক আর এক সেনা সদস্য আনোয়ারের ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম। বাদী আনোয়ার ও তার কলেজ পড়ুয়া পুত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি কাজে তাসের তুরুপ হিসেবে ব্যবহার করছে মা মর্জিনা বেগমকে।
বাদী আনোয়ার ও এলাকাবাসী আরো জানান, আনোয়ারের মায়ের কারণেই ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। তার মায়ের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে গ্রামের কেউ সমাধানে মাথা দেয়না। এমনকি মান সন্মানের ভয়ে কেউ কথা বলেনা। এরা এতই অসামাজিক, অমানবিক ও পাশবিক যে আনোয়ারের প্রথম স্ত্রী (পুলিশ কন্যা) আসামী আয়ুব ও তার মায়ের হাতে মার খেয়ে ও তাদের অত্যাচারে দুইটা ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার ছেড়েছে। আনোয়ার তার ও তার পরিবারের উপর বারবার হামলা ও শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ষড়যন্ত্রকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শনাক্ত করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জন্য সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.