দামুড়হুদার বাঘাডাঙ্গার পূর্বশত্রুতার জেরে ফুলকপি, পেঁপে, ভুট্টা, ড্রাগন বাগান কেটে তছরুপ : লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বাঘাডাঙ্গার, কাঞ্চনতলা নামক মাঠে পূর্বশত্রুতার জেরে ফলন্ত ফুলকপি, পেঁপে বাগান, ভুট্টা ও ড্রাগন বাগানের ড্রাগন গাছ কেটে তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।জানাগেছে,
দামুড়হুদার পার-দামুড়হুদা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে ফকির মোহাম্মদ কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা ও কাঞ্চনতলা মাঠে জমি লিজ নিয়ে প্রায় ১০ বিঘা ফুলকপি, ১ ০ বিঘা ড্রাগন বাগান, ৫ বিঘা পেঁপে বাগান সহ ভুট্টার আবাদ করে আসছে।
ফকির মোহাম্মদ বিটিসি নিউজকে জানান. আমাকে গতকাল শনিবার সকালে আমার জমিতে থাকা শ্রমিক (লেবার) ফোন করে জানান কে বা কারা জমিতে থাকা ফুলকপি, ড্রাগন গাছ, পেঁপে গাছ ও ভুট্টা গাছ কেটে দিয়েছে।
আমি দ্রুত ছুটে এসে দেখি আমার জমির ফুলকপি কেটে টুকরা টুকরা করে মাঠে ছড়ানো, ভুট্টা গাছ কাটা,পেঁপে বাগানের পেঁপে গাছ কাটা, ড্রাগন বাগানের ড্রাগন গাছ কাটা। এর সপ্তাহ খানেক আগে আমার ড্রাগন বাগানের সব ড্রাগন রাতের আঁধারে লুট করে নিয়ে যায়। আমার এতে করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি শেষ। জমি লিজ নিয়ে চাষ করি। সরকারের কাছে পুরস্কার পেয়েছি। পুরো জেলা মিলে আমার ১শ বিঘার উপরে বিভিন্ন চাষাবাদ রয়েছে। আমি আতংকে আছি তারা আমাকে মেরে ফেলতে পারে।
তিনি আরো জানান আমার বাগানে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের স্কুল পাড়ার শফির ছেলে জাহিদুল কাজ করতো। আমি তার কাছে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা পাই।সে টাকা চাইতে গেলে আমাকে হুমকি ধামকি দেই। আমার ধারনা আমার ক্ষতি সেই করেছে।তাছাড়া আমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই।
এ বিষয়ে জানতে জাহিদুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে বাড়ি পাওয়া যায়নি।ক্ষতি গ্রস্হ কৃষক ফকির মোহাম্মদ জানান আমি ন্যায় বিচার চাই। এ বিষয়ে ফকির মোহাম্মদ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই নিয়ামুল হকের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বিটিসি নিউজকে বলেন, ফাঁড়িতে অজ্ঞাতনামা দের নামে লিখিত অভিযোগ করেছে। আমি মাঠ পরিদর্শন করেছি।তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.