দাভিদ রায়ার নৈপুণ্যে বেঁচে গেল আর্সেনাল

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: চোখের পলকে অসাধারণ দুটি সেভ করলেন গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। মহাবিপদের হাত থেকে বেঁচে গেল তার দল। নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে না পারলেও, আতালান্তার মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরল আর্সেনাল।
নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিযান শুরুর ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে গোলশূন্য ড্র করেছে এই দুই দল।
চোট শঙ্কা কাটিয়ে ফেরা বুকায়ো সাকার নৈপুণ্যে ত্রয়োদশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো আর্সেনাল। তার রক্ষণ দেয়াল ভেদ করে নেওয়া নিচু ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান গোলরক্ষক মার্কো।
আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রথম আধা ঘণ্টায় একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে অধিনায়ক মার্টিন ওডেগোরকে ছাড়া খেলতে নামা আর্সেনাল। যদিও এই সময়ে আর কোনো পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। এরপর পজেশন ধরে রেখে খেলায় মনোযোগী হয় আতালান্তা। কিন্তু, বিরতির আগে দুই গোলরক্ষকের কেউই পরীক্ষা নিতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে রায়ার দুর্দান্ত ওই দুই সেভ।
টমাস পার্টিকে কাটিয়ে বক্সের বাঁ দিক দিয়ে বল পায়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এদেরসন। তাকে পেছন থেকে আর্সেনালের পার্টি ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপরই রায়ার ওই নৈপুণ্য; মাতেও রেতেগির স্পট কিক তিনি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরালেও বিপদমুক্ত হয়নি, ফিরতি বলে ফের শট নেন রেতেগি, অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় এবার বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে গোললাইন থেকে ফেরান স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
৬৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি ছড়ায় আতালান্তা। সাত মিনিট আগে বদলি নামা হুয়ান কুয়াদরাদোর ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়।
ছয় মিনিট পর সাকাকে বসিয়ে রাহিম স্টার্লিংকে নামান কোচ আর্তেতা। এতেই একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চারটি ভিন্ন ইংলিশ দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাঠে নামার অনন্য কীর্তি গড়লেন এর আগে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির হয়ে খেলা এই ফুটবলার।
দুই মিনিট পর অ্যাসিস্টের খাতায়ও নাম লেখাতে পারতেন স্টার্লিং। কিন্তু তার থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে উড়িয়ে মারেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। বাকি সময়ে আর কেউ তেমন কিছু করতে না পারায়, পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুই দল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.