কুমিল্লা ব্যুরো: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় দাদিকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নাতি। খুন করে তার জানাজা ও দাফনেও অংশ নেয় ঘাতক। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র পুকুরে ফেলে এসে স্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এই তথ্য জানায়।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধা আমেনা খাতুন (৮১) হত্যা মামলার রহস্যের উদঘাটন করা হয়েছে। এই ঘটনায় একমাত্র ঘাতক নাতি সাগর বাদশাকে (২২) গ্রেফতারের পর হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সাগর নিহত আমেনা বেগমের তৃতীয় সন্তান আবদুল মতিনের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘চার বছর আগে সাগর তার দাদি আমেনা বেগমের স্বর্ণের গয়না এবং টাকা চুরি করে। সে ঘটনায় সাগর ও তার চাচাতো ভাই হাসানকে স্থানীয় সালিশে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং গলায় জুতার মালা দিয়ে এলাকায় ঘোরানো হয়। দুই মাস আগে সাগর আবারও গ্রামে আসে। গত ১২ অক্টোবর তার দাদির ঘরে চুরি করতে যায়। সেসময় দাদি তাকে চিনে ফেলায় পাশে থাকা বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বঁটি, ছুরি ও লোহার রড পুকুর ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দাদির ঘর থেকে চুরি করা ১০ লিটার সয়াবিন তেল তার চাচার ঘরের ড্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। যা সে চুরি করে নিয়ে সেখানে রাখে।’
উল্লেখ্য,১২ অক্টোবর মুরাদনগর উপজেলার মোচাগড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় মৃত তালেব আলীর স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৮১) মধ্যরাতে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবু ইউসুফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ নিয়ে তদন্তে নেমে আসামিকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এরকুমিল্লা ব্যুরোপ্রধান আব্দুল্লাহ আল মানছুর। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.