বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত জলসীমায় মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল চীন ও ফিলিপাইন। গতকাল রোববার চীনের কোস্ট গার্ড ও ফিলিপাইনের বেসামরিক বেশ কয়েকটি জাহাজ মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। এমনকি এতে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি করেছে ম্যানিলা। তবে এই সাংঘর্ষিক অবস্থার জন্য চীনও ফিলিপাইনকে দায়ী করেছে। এই অবস্থায় ম্যানিলার পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক মাস ধরেই চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে জলসীমা নিয়ে তীব্র বিরোধ চলছে। তারই সর্বশেষ ঘটনা হলো এটি। এই ঘটনা আঞ্চলিক রাজনীতিতে আবারও বিতর্ক ও উত্তেজনা উসকে দিয়েছে।
ফিলিপাইনের ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ফর দ্য ওয়েস্ট ফিলিপাইন সির মুখপাত্র জে টিরেলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, চীনা কোস্ট গার্ড ও মেরিটাইম মিলিশিয়া জাহাজগুলো ফিলিপাইনের বেসামরিক সরবরাহ জাহাজগুলোকে হয়রানি করেছে। সেগুলোকে ঘটনাস্থলে অবরুদ্ধ করে ফেলতে বিপজ্জনক কৌশল অবলম্বন করেছিল চীনারা।
ফিলিপাইনের কোস্ট গার্ড অভিযোগ করেছে, তাদের অন্তত দুটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চীনা বাহিনীর জলকামানের আঘাতে। তবে চীনা কোস্ট গার্ড বলেছে, ফিলিপাইনের জাহাজগুলো অবৈধভাবে চীনা জলসীমায় অনুপ্রবেশ করায় তাঁরা এর বিরুদ্ধে আইন অনুসারে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
চীনা কোস্ট গার্ড আরও বলেছে, ফিলিপাইনের একটি জাহাজ অসংখ্যবার চীনা সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছিল এবং একটি চীনা নৌযানের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে অপেশাদার ও বিপজ্জনকভাবে ধাক্কা দিয়েছিল। এর দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে ফিলিপাইনের ওপর বর্তায়।
এদিকে, দক্ষিণ চীন সাগরে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যকার বিরোধ নিয়ে ম্যানিলার পক্ষাবলম্বন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ম্যানিলার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর স্কারবোরো রিফের বাইরে এবং আবার ১০ ডিসেম্বর সেকেন্ড থমাস শোলের কাছে চীনা জাহাজ জলকামান ও বেপরোয়া কূটকৌশল ব্যবহার করে। যার ফলে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ফিলিপাইনের জাহাজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেগুলোতে থাকা ফিলিপিনো ক্রুদের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিপজ্জনক ও বেআইনি পদক্ষেপের মুখে ফিলিপাইনের মিত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে,১৯৫১ সালের যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির ধারা ৪ অনুসারে দক্ষিণ চীন সাগরের যেকোনো জায়গায় ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনী, বেসামরিক যান বা বিমানের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ বলে গণ্য হবে।’ #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.