রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নানান অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনায় ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম,নেই শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষিকাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকার অশালীন আচরণ,শিক্ষার্থীদের গালিগালাজসহ বিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে উন্নয়ন বরাদ্দ আত্মসাৎতের।
আবার, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও কোন সূরাহা মেলে না বরং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমে ফাইল বন্ধী রাখারও অভিযোগ আছে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
বেলা গড়িয়ে ঘড়ির কাটা ১০টা ১৫ মিনিট এই চিত্র রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার সদূরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয় এর মাঠে অপেক্ষা করছেন, কখন স্কুলের তালা খুলবেন অথচ সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে বিদ্যালয়ের তালা খোলা থাকার কথা।এরপর সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে দ্রুত ছুটে এসে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা খুলে দেন প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ লায়লা পারভিন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, কর্তব্য অবহেলাসহ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগ নিত্যদিনের।শুধু তাই নয়,প্রধান শিক্ষিকার অশালীন আচরণে সহকারী শিক্ষিকাদের মধ্যে নানাবিধ ঝগড়া বিবাদ সবসময় লেগে থাকে।এতে প্রায়ই শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়াসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান,মনুষ্যত্ব ও মেধা বিকাশের বদলে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে বলে জানান,অভিভাবক ও স্হানীয়দের।
সম্প্রতি বিদ্যালয় পরিচালনায় নানা অনিয়ম দেখা দিলে, অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাদের প্রত্যাহার চেয়ে এক দফা এক দাবি আদায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। সেই মুহূর্তে চিএ ধারণে বাংলা টিভির সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ছবি তুলতে বাধা দেয়া হয় আর স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়ার প্রধান নেতৃত্ব দেন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার স্বামী শফিকুল রহমান।
পরে অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা একত্রিত হয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করেন এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের নানান অনিয়ম দুর্নীতির কথা জানান।
সদূরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষার মান উন্নয়নে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিকবার লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন।
আর বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা লায়লা পারভীন বললেন,ভিন্ন কথা।
এসব অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলে, মিঠাপুকুর উপজেলা চত্বরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অফিস কক্ষ থেকে সটকে পরেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
পরে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানালেন,বিষয়গুলি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.