বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পারমাণবিক সাবমেরিনটি এক বছরের বেশি সময় আগে টহলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ওই ত্রুটি দেখা দেয়। পরিমাপ যন্ত্রে ত্রুটির কারণে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভির একটি পারমাণবিক সাবমেরিন ‘চিরতরে সমুদ্রে তলিয়ে যেতে’ বসেছিল। তবে শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিনিয়ারদের বুদ্ধিমত্তায় সেটি রক্ষা পায়।
দ্য টেলিগ্রাফ সোমবার এ খবর প্রকাশ করে। বিবিসিও ডুব দেওয়ার সময় যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভির একটি পারমাণবিক সাবমেরিনে ‘উদ্বেগজনক’ ত্রুটি দেখা দিয়েছিল বলে খবর প্রকাশ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এখনও না ঠিক না হওয়া পারমাণবিক সাবমেরিনটি এক বছরের বেশি সময় আগে টহলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনায় পড়ে।
সে সময় সাবমেরিনটিতে প্রায় ১৪০ জন ক্রু এবং ট্রিডেন্ট ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।
ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “সেখানে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছিল এবং এটা উদ্বেগজনক ছিল। কিন্তু সিস্টেমের দ্বারা সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।”
কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে রয়্যাল নেভি থেকে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দিতে তিনি রাজি হননি।
সমুদ্রে ডুব দিয়ে চলার সময় সাবমেরিনকে পানির প্রচণ্ড চাপ সহ্য করার মত যথেষ্ট শক্তিশালী হতে হয়।
এ ঘটনার বিস্তারিত প্রথমে দ্য সান পত্রিকায় প্রকাশ পায়। সানের খবরে বলা হয়, ডুব দেওয়ার সময় সেটিতে থাকা ইঞ্জিনিয়াররা প্রথমে ক্রুদের ওই ত্রুটির বিষয়ে সতর্ক করেন।
সাবমেরিনের পরিমাপ যন্ত্রে ক্রুটির কারণে সেটি ডুব দেওয়া বন্ধ করেছে বলে দেখাচ্ছিল। তাই ক্রুরা ভেবেছিলেন সেটি পানির নিচে স্থির হয়েছে। যদিও সেটি তখনও ডুব দিয়েই যাচ্ছিল। সেটি প্রায় পানির নিচে ‘বিপজ্জনক গভীরতায়’ পৌঁছে গিয়েছিল।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সাধারণত দেশটির সাবমেরিনের কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করা হয় না।
রয়্যাল নেভি বলেছে, তাদের সাবমেরিনগুলি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে চলেছে এবং এটি নিজেদের অপারেশনের বিষয়ে মন্তব্য না করলেও কর্মীদের নিরাপত্তাকে সর্বদা অগ্রাধিকার দিয়েছে।
এই বছরের জানুয়ারিতে খবর প্রকাশ পেয়েছিল যে, চারটি ভ্যানগার্ড শ্রেণীর সাবমেরিনের মধ্যে নেতৃত্বে থাকা নৌযান এইচএমএস ভ্যানগার্ড এ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলার সময় পরিদর্শকরা একটি ‘ক্রুটি’ খুঁজে পেয়েছেন।
সে সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, ‘অতীতে করা কাজ’ থেকে ত্রুটিটি সম্পর্কে ‘তাত্ক্ষণিকভাবে জানানো এবং সংশোধন করা হয়েছে’।
গত মে মাসে নৌযানটি শেষপর্যন্ত ডেভোনপোর্ট ডকইয়ার্ড ছাড়ে। সেখানে প্রায় সাড়ে সাত বছর ধরে সাবমেরিনটির সংস্কার কাজ চলে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.