ত্রিনবাগোকে গুড়িয়ে অবশেষে সিপিএলে চ্যাম্পিয়ন গায়ানা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: একদল চার ফাইনালে খেলে কোনোবারই হারেনি। আরেক দল পাঁচবার ফাইনালে খেলিও কোনোবারই জেতেনি। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ১১তম আসরে এসে উল্টে গেল হিসাবটা। ত্রিনবাগো নাইট রাউডার্সকে গুড়িয়ে প্রথমবার শিরোপার স্বাদ পেল গায়ানা অ্যামাজান ওয়ারিয়র্স।
বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামের ফাইনালে ৯ উইকেটে জেতে স্বাগতিকরা। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের পেস আর ইমরান তাহির ও গুড়াকেশ মোতির স্পিনে ১৮.১ ওভারে স্রেফ ৯৪ রানে গুটিয়ে যায় ত্রিনবাগো। ৩৬ বল আর ৯ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গায়ানা।
এর আগে প্রতিযোগিতার প্রথম দুই আসরেই ফাইনালে উঠেছিল গায়ানা। টানা দুই ফাইনাল খেলেছিল ষষ্ঠ ও সপ্তম আসরেও। সব মিলিয়ে প্রথম ১০ আসরের ৫টিতে ফাইনাল খেললেও প্রতিবারই রানার্সআপ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাদের। অবশেষে অধরা ট্রফির দেখা পেল ইমরান তাহিরের নেতৃত্বাধীন দল।
ফাইনালে এবার উল্টো অভিজ্ঞতা হলো নাইট রাইডার্সেরও। এর আগে চারবার ফাইনাল খেলে প্রতিবারই ট্রফি হাতে তুলেছিল দলটি। সেই নাইট রাইডার্সই গায়ানার কাছে এবার পাত্তাই পায়নি।
নিকোলাস পুরানের নেতৃত্বাধীন দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস আসে কিসি কার্টির ব্যাট থেকে। অন্যদের মধ্যে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল মার্ক ডেয়াল (১৬) ও চ্যাডউইক ওয়ালটন (১০)।
প্রিটোরিয়াস ২৬ রানে নেন ৪ উইকেট। আর ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন গুড়াকেশ। অধিনায়ক তাহির দুই উইকেট নেন চার ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে।
রান তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গায়ানা। পাকিস্তানি ওপেনার সায়েম আইয়ুব ৪১ বলে ৫২ এবং শেই হোপ ৩২ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
৪৮১ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন হোপ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স: ১৮.১ ওভারে ৯৪ (কার্টি ৩৮, ডেয়াল ১৬; প্রিটোরিয়াস ৪/২৬, গুড়াকেশ ২/৭, তাহির ২/৮০)।
গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স: ১৪ ওভারে ৯৯/১ (আইয়ুব ৫২*, হোপ ৩২*; আকিল ১/২১)।
ফল: গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।
টুর্নামেন্ট সেরা: শেই হোপ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.