মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ল²ীখালী গ্রামে ছাগলে ধান খাওয়ার তুচ্ছ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের মা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছে দূর্বৃত্তরা।
গুরুতর জখমী রোকেয়া বেগম (৬০) ও তার ছেলে পলাশ হাওলাদার (২৯) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৪ তারিখ রবিবার সকালে মোরেলগঞ্জ হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের ল²ীখালী গ্রামের কৃষক আঃ বারেক হাওলাদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে পলাশ হাওলাদারকে ঘটনার দিন শনিবার দুপুরে প্রতিবেশী একই গ্রামের মনির ফকিরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনার পর পর স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ডা. তনুশ্রী ডাকুয়া বলেন, ল²ীখালী গ্রামের রোকেয়া বেগম ও পলাশ হাওলাদার গুরুতর দু’জন জখমীকে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রোকেয়ার দু’হাতেই ভাঙ্গা, মাথা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পলাশ হাওলাদারেরও মাথায় জখম রয়েছে। উভয়ের অবস্থার অবনতি দেখায় তাদেরকে সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখমী পলাশ হাওলাদার বলেন, তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। মাঠে তাদের ছাগলে ঘাস খাওয়ার বিষয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী মনির ফকির ১৫/২০ জন সংঘবদ্ধ লোকজন নিয়ে এসে তাদের ওপরে এ হামলা চালায়। তার মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক, স্থানীয় ফাড়ি পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে। আমারা প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ বিষয় স্থানীয় লক্ষীখালী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস,আই মারুফুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে লক্ষীখালীতে মারপিটের ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দু’জনকে চিকিৎসার জন্য মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। উভয় পক্ষের লোকজনই আহত রয়েছে।
এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বিটিসি নিউজকে বলেন, ল²ীখালীর মারপিটের বিষয়টি শুনেছি, কোন পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি গনেশ পাল ও এম. পলাশ শরীফ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.