বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের দলে না থাকার পর তামিম ইকবালের ভিডিও বার্তা এবং তার কিছুক্ষণ পরই সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকার নিয়ে উত্তপ্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট। এসব ঘটনাপ্রবাহে আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। কারণ, দল ঘোষণার আগে বিসিবিতে গিয়েছিলেন সাবেক এই পেসার। এবার ভিডিও বার্তায় তার অনেক কিছুই খোলাসা করেছেন তিনি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন আচমকা অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। যেটিকে একটি ভুল সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন মাশরাফি।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়নি তামিমের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া উচিত হয়েছে। কী জন্য! কারণ বোর্ডও কম্ফোর্টেবল জোনে ছিল এবং বোর্ড ক্লিয়ার কমিউনিকেশন করেছে। মিডিয়ার সাথেও যখন কথা বলেছে তখন স্পষ্ট করেছে, তামিমের ক্যাপ্টেন থাকা নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের কোনো সমস্যা নাই। এখন পয়েন্ট ছিল তামিমের ইনজুরি। তামিম ইনজুরির কারণে কনফিউজ হয়ে ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েছে। তামিমকে আরেকটু ওয়েট করে অ্যানালাইসিস করা উচিত ছিল। …কারণ, ক্যাপ্টেন্সি যদি চেঞ্জ করতেই হতো ওয়ার্ল্ড কাপের আগে না করে আইডিয়াল ছিল আরও ৬ মাস ১ বছর আগে করা। বিসিবি যেহেতু ধরেই রেখেছিল তামিম ক্যাপ্টেন্সি করবে সেহেতু তামিমকে সেই সুযোগ কিন্ত ক্রিকেট বোর্ড দিয়েছিল। সো আমি মনে করি তামিম সেই সুযোগ নিতে পারত। আমার কাছে মনে হয় তামিমের ইনজুরি ইস্যুজের কারণে তামিম চেয়েছে ক্যাপ্টেন্সি না করতে।’
তামিমের দলে না থাকতে চাওয়ার ব্যাপারটিও পছন্দ হয়নি মাশরাফির, ‘বোর্ডের কেউ না কেউ তার সাথে কথা বলেছে এবং কথা বলার পরে সে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে যায় এবং উত্তেজিত হওয়ার পর সে দলে থাকতে চায়নি। … তামিমের সাথে বিসিবির যারই কথা হোক না কেন সেই কথোপকথনের পরে তামিম উত্তেজিত হয়ে ‘আমি দলে থাকতে চাই না’ এই কথাটা যখন তামিম বলেছে… তখন সেই জিনিসটাও আমার মনে হয়েছে আরও স্লো যাওয়া উচিত ছিল। কী জন্য! রাগ ক্ষোভের ওপরে মানুষ যে সিদ্ধান্তই নেয় না কেন, সেটি কখনো সঠিক সিদ্ধান্ত হয় না। সেটি আমরা সবসময়ই দেখে এসেছি। তামিমের সিদ্ধান্ত আরেকটু ভেবেচিন্তে নিলে হয়তোবা জিনিসটা ভালো হতো।’ #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.