ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ সম্ভব : খুলনায় কর্মশালায় বক্তারা (ভিডিও)

খুলনা ব্যুরো: ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে অধিক সতর্ক থাকা, এ রোগের বাহক এডিসমশা যাতে বংশ বিস্তার করতে না পারে সেজন্য পরিষ্কার পানি জমে থাকতে না দেয়া, অফিস, ঘর বা আশেপাশের কোন স্থানে অথবা পাত্রে জমে থাকা বা জমিয়ে রাখা পানি তিন দিনের মধ্যে অপসারণ করা, পুরো শরীর ঢেকে পোশাক পড়া এবং দিনে রাতে ঘুমানোর সময় মশারী ব্যবহার করা, তীব্র জ¦র, মাথাব্যাথা, মাংসপেশী ও হাড়ের জোড়ায় ব্যাথা, শরীরে লালচে দানা, বমিভাব বা বমি ইত্যাদি হলেই নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) শহর ও শহরতলী এলাকায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কল্পে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করণ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘এডিস মশার বংশ বিস্তার করতে হবে রোধ, তাতেই হবে ডেঙ্গু আর চিকনগুনিয়ার শক্ত প্রতিরোধ’ এ বক্তব্যকে উপজীব্য করে  সকালে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডা: রাশেদা সুলতানা।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী প্রধান(এমআইএস) মো: জোবায়ের হোসেনের পরিচালনায় এসময় ডেঙ্গুজ¦রের আদ্যোপান্ত ও করণীয় বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সহকারী পরিচালক(প্রশাসন) ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, উপ-পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডা: শামীম আরা নাজনীন, মেডিকেল সাব ডিপোর উপ-পরিচালক ডা: মোসা: মোমেনা খাতুন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের উপ-পরিচালক মু. বিল্লাল হোসেন খান, সহকারী পরিচালক(রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা: ফেরদৌসী আক্তার, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: স্বপন কুমার হালদার, বাংলাদেশ বেতার খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক মো: বরিশ উদ্দিন প্রমুখ। এসময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালায় যোগ দেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন লাইফ স্টাইল এবং হেলথ এডুকেশন ও প্রমোশন অপারেশনাল প্লানের আওতায় থার্ড আই কমিউনিকেশনের আয়োজনে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তৃতায় বিভাগীয় পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডা: রাশেদা সুলতানা বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এ মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা।

তাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে ধ্বংস করতে হবে এবং একই সাথে ব্যক্তিগত সতর্কতা অবলম্বন করে মশক নিধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.